শিরোনাম
◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে

প্রকাশিত : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৮ দুপুর
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৪৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখতে আরো সামরিক বিনিয়োগ প্রয়োজন, জানালো সিনেট কমিটি

রাশিদ রিয়াজ : মার্কিন আর্মস সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান জিম ইনহোফে বলেছেন, দুটি বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র জয়লাভ করলেও এখন বিশে^ সামরিক আধিপত্য হারাচ্ছে। এ কারণে মি: জিম সামরিক খাতে আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেছেন। ওকলাহোমার একটি দৈনিকে এক প্রবন্ধে মি: জিম এধরনের সামরিক বরাদ্দ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রচলিত অস্ত্র ও অত্যাধুনিক হাই-টেক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, হাইপারসনিক অস্ত্র ছাড়াও লেজার গান ও পার্টিকাল বিম ধরনের অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে পড়েছে। অথচ সামরিক শ্রেষ্ঠত্বের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র পরপর দুটি বিশ্বযুদ্ধে জয়লাভ করে। ঠাণ্ড যুদ্ধ যখন শেষ হয় তখান রাশিয়া ও চীনের মিলিত যুদ্ধ বিমানের চেয়ে বেশি যুদ্ধ বিমান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরও বছরে ৫’শ যুদ্ধ বিমান সংগ্রহ বা কিনত যুক্তরাষ্ট্র। যা এখন ৫০’এ নেমে এসেছে। যুদ্ধজাহাজগুলোর সংস্কার করা হয়নি তেমন। জিম তার প্রবন্ধে বলেন, বি-৫২ বোমারু বিমান গত ৬৬ বছর ধরে আমরা চালিয়ে আসছি। কামান ও গোলাবারুদের দিক থেকেও চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে বলে দাবি করেন জিম এবং বলেন, আমাদের স্বস্তি খুঁজে পাই মার্কিন অস্ত্র উন্নত বলে। কিন্তু আসলে চীন ও রাশিয়ার কামান ও গোলাবারুদ যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে সংখ্যায় শুধু যে বেশি তা নয়, বরং তাদেরটি অনেক উন্নতমানের। একারণেই মার্কিন সামরিক খাতে আরো অধিক বরাদ্দ প্রয়োজন। বছরে ৩ থেকে ৫ শতাংশ সামরিক বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে তিনি সমর্থন জানান।

এদিকে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বরাদ্দ সাড়ে ৭’শ বিলিয়নে দাঁড়াচ্ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতি ও সম্পদের অপ্রতুলতায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল অনুসরণ করে আগানো সম্ভব হচ্ছে না বলে পেন্টাগন বলছে। একই সঙ্গে মি: জিম যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র ও সরঞ্জামের আধুনিক করার ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের অনীহা দূর না হলে চীন ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে সামরিক হুমকি তার জীবদ্দশায় মোকাবেলা করা সম্ভব হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়