শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

একটা অনুরোধ, বইমেলায় ট্র্যাশ বইগুলো কিনবেন না

আরিফ জেবতিক

একটা অনুরোধ করি। বইমেলায় গিয়ে ট্র্যাশ বইগুলো কিনবেন না। ট্র্যাশ বই কোনগুলো সেটা আপনিও জানেন, আমিও জানি, তাই বিস্তারিত বর্ণনায় গেলাম না, শুধু অনুরোধ জানাই যে, এসব ট্র্যাশ বই কিনবেন না।
বাণিজ্যমেলা হচ্ছে প্লাস্টিকের আবর্জনা কেনার হাট, আর বইমেলা হয়েছে কাগজের আবর্জনা কেনার হাট। প্লাস্টিকের আবর্জনাগুলো তা-ও গৃহস্থালীতে কাজে লাগে, কাগজের আবর্জনা কেনা মানে কাগজ বানানো গাছগুলো আসলে অহেতুক খুন হয়েছে, সেই খুনের পৃষ্ঠপোষকতা করা। আপনার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়, আপনার নাতজামাই, আপনার অফিসের বস, কলিগের বউ কিংবা সোয়ামি, ফেসবুকে লাইক কামানো তালেবরÑ তারা প্রতিবছর আবর্জনা প্রসব করেন, সেই আবর্জনা সাফ করার দায়িত্ব আপনার নয়।
সমস্যা হচ্ছে, অনুরোধে এসব ঢেকি গিলতে হয়। বইমেলায় আত্মীয় কুটুম্ব হাত চেপে ধরে যখন স্টলের নম্বর বলতে থাকেন বারবার, তখন সেখানে গিয়ে এই জিনিস কিনতেই হয়। আপনার কাছে হয়তো মনে হচ্ছে যে কী হয় এসব ছোটখাটো ত্যাগ স্বীকার করলে? আসল ব্যাপারটা হচ্ছে এসব ট্র্যাশ আত্মীয় কুটুম্ব বন্ধু-বান্ধবদের কাছে দুইশো কপি বিক্রি করে আপনার সেই তথাকথিত লেখক আত্মশ্লাঘা পেলেও এটি আসলে আপনার বাজেটে চাপ ফেলছে। এভাবে বইমেলায় শত শত ‘বই’ বের হয় এবং সেগুলো বাজেটের ওপর চাপ ফেলে বলে আপনি দুটো ভালো বই কিনতে পারেন না, দুটো ভালো বইয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারেন না। এটি যখন বড় স্কেলে ঘটতে থাকে তখন আপনার ক্ষতি, ভালো লেখক এবং ভালো প্রকাশনার জন্যও ক্ষতি।
আমরা সবকিছুকে বড্ড হালকাভাবে নিচ্ছি বলেই দিনে দিনে একটা থার্ডক্লাসে পরিণত হচ্ছি। ট্র্যাশ বই লেখকদের যদি চক্ষুলজ্জার কারণে পৃষ্ঠপোষকতা করতে হয়, তাহলে তাদের বইয়ের মূল্য পরিমাণ নগদ টাকা দিয়ে দিন, কিন্তু বই কিনবেন না। আমি দুই বছর আগে এমন করেছি, কয়েকজনের কাছে বইয়ের দাম জেনে সেই টাকা দিয়ে দিয়েছি। দিয়ে মিষ্টি করে বলেছি, তোমার বইটার দাম দিয়ে দিলাম, বইটা তুমি অন্য কাউকে দিয়ে দিও। কারণ তোমার ‘নখের ডগায় স্টিকার’ মার্কা ৫ ফর্মার এসব বুলশিট হাজারে বিজারে লেখা হচ্ছে, এগুলোর জন্য টাকা খরচ পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু তারপর আবার সময় নষ্ট করার কিছু নেই।
এতে লাভ হয়েছে, এখন একটা বড় অংশ লোকজনই আমাকে বই কেনার জন্য পিড়াপিড়ি করে না। আমি আমার পছন্দের বই খুঁজে খুঁজে নিজেই কিনতে পারি। ভালো বই পড়ুন। ভালো বইয়ের সন্ধান পেলে অন্যকে জানান, ফেসবুকে আলোচনা করুন যাতে অন্যরা কেনার আগ্রহ পায়-এভাবে আপনি অন্যের উপকার করতে পারবেন। এটাও এক ধরনের দেশ সেবা, মানবসেবা। আর ট্র্যাশ কেনাটাও শুধু কেনা নয়, সেটাও দেশ-পরিবেশ-মানবজাতির জন্য ক্ষতি। ) ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়