সৌরভ নূর : শুধু রোহিঙ্গা বলে না, পিৃথিবীর যেখানে শরণার্থী রয়েছে সেখাই কম-বেশি সমস্যা বিদ্যমান। রোহিঙ্গাদের শিক্ষা প্রদানের বিষয়টি এখন আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। কেননা আমাদের দেশের প্রচলিত ধারায় তাদের শিক্ষা দেয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না, তাদের জন্য কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ কর্মী করে গড়ে তুলতে হবে যেন তারা যেখানেই যাক কাজ করে খেতে পারে। এছাড়া তাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কেও জ্ঞান প্রদান করা উচিত। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত এগিয়ে আসা, সমাধানের উদ্যোগ নেয়া। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মিজানুর রহমান রোহিঙ্গাদের শিক্ষা প্রদান প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন।
এই প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, এর আগেও রোহিঙ্গাদের টেকসই পড়াশোনার ব্যবস্থা ছিলো না। তারপরেও তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছে এবং সহসা চলে যাবারও কোনো সম্ভাবনা যখন দেখছি না। ফলে তাদের শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়া এখন আমাদেরই দায়িত্ব। শিবিরে অবস্থানরত শিশুরা যদি নিরক্ষর থাকে কিংবা অশিক্ষা-কুশিক্ষা নিয়ে বেড়ে ওঠে তাহলে পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা তৈরি হবে এবং জঙ্গিবাদেরও উত্থান ঘটতে পারে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় কিছু আন্তর্জাতিক ইসলামি সংগঠন রয়েছে বিভিন্ন নামে। আমরা নিশ্চিত নই তাদের উদ্দেশ্য কি। তারা যদি শুদ্ধ কিছুর পরিবর্তে ধূসর মরুভূমির সংস্কৃতি শেখায় তাহলে বড় ধরনের বিড়ম্বনার সৃষ্টি হতে পারে। তাই এখনই আমাদের উচিত সতর্ক হওয়া। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও উচিত এগিয়ে আসা।
সরকার আমাদের কোটি কোটি ছেলেমেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা করেছে, চাইলে তাদের ব্যবস্থাও করতে পারবে। কিন্তু সেখানে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা আছে যারা শিশুদের নিয়ে কাজ করে। এই পরিস্থিতিতে তাদেরই এগিয়ে আসা এবং শিক্ষার দায়িত্ব নেয়া উচিত। বাংলাদেশ সরকার ওই সকল সংস্থাগুলোর কাজে সর্বাত্বক সহযোগীতা প্রদান করবে। কেননা রোহিঙ্গাদের জীবন ব্যবস্থাকে একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেধে দেয়া হয়েছে।