শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৩৩ রাত
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্বাধীনতাবিরোধীদের চিরতরে এ-দেশ থেকে বিলুপ্ত করার সময় এসেছে বলে মনে  করেন ড. এস এম ইমামুল হক

নাঈমা জাবীন : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও শিক্ষাবিদ ড. এস এম ইমামুল হক বলেছেন, নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে। অথচ ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে, যে দলটির নিবন্ধনও বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তারা এমন কথাও বলেছে, ক্ষমতায় গেলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেবে, সাঈদীকে ছাড়িয়ে আনবে। স্বাধীন বাংলাদেশে এটা কী করে সম্ভব? আমরা কেন জামায়াতকে প্রশ্রয় দেবো? আমি কোনো অনুষ্ঠানে জামায়াতের কেউ অতিথি থাকলে সেই মঞ্চে কখনও উঠিনি। বিএনপি আমলে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন মতিউর রহমান নিজামী। তিনি প্রধান অতিথি থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন করেছি। এভাবে সর্বক্ষেত্রে স্বাধীনতাবিরোধীদের বয়কট করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পারেনি, আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধ করার সময় এসেছে। সময় এসেছে স্বাধীনতাবিরোধীদের চিরতরে এ দেশ থেকে বিলুপ্ত করার এবং তারা তা করে দেখিয়েছে। শাবাশ! সূত্র : সমকাল

গত ১০ বছর আমরা যে অবস্থানে এসেছি, তা কল্পনাতীত। ২০১৮ সালে ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশ ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে। ২০৪১ সালে উন্নীত হবে উন্নয়নশীল দেশে। নবগঠিত মন্ত্রিসভায় তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে, এটি একটি বিশেষ দিক। আমি অত্যন্ত আশাবাদী। সিনিয়র নেতাদের নির্দেশনা মেনে তারুণ্যনির্ভর মন্ত্রিসভা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এটা আমার দৃঢ়বিশ্বাস।

আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া দল। তাই এই সরকারের প্রতি প্রত্যাশা অনেক। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারের প্রথম কাজ হওয়া উচিত দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া। শুধু তাই নয়, নীতিবিরোধী কাজও বন্ধ করতে হবে। অনৈতিক কোনো কাজকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর সততা নিয়ে প্রশ্নের অবকাশ নেই। কিন্তু তিনি যাদের নিয়ে দেশ চালাবেন, তার মন্ত্রিপরিষদকেও ততোটাই সৎ থাকতে হবে। পাশাপাশি সচিবালয় দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে আইনের প্রয়োগ আরও বাড়াতে হবে। ‘অর্থ সংঘাত প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা’ নামে একটা আইন করা হচ্ছে। এটি খুব ভালো উদ্যোগ। কিছু দুষ্টলোক আছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে পারলে দেশ আরও উন্নত হবে। আর্থিক অব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে আরও সচেতন হতে হবে। সেবা খাতগুলোতে দুর্নীতি কমেছে। আরও কমাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসবেন। সেজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, সবাইকে সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়