সাত্তার আজাদ, সিলেট: মঙ্গলগ্রহে চলার উপযোগী ও অগ্নিনির্বাপক পৃথক দুটি রোবট আবিস্কার করল সিলেটের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায় ‘লিডিং ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীরা।
তড়িৎকৌশল এবং প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়া মাহমুদ ও একেএম মনিরুজ্জামান অপু উদ্ভাবন করলেন অগ্নিনির্বাপক রোবট। যে রোবটের মাধ্যমে অগ্নি দূর্ঘটনার মোকাবেলা করা যাবে খুব সহজেই।
তারা জানান, রোবটটি আরএফ প্রযুক্তি এবং তারবিহীন ডিভাইসের মাধ্যমে নিরাপদ স্থান থেকে পরিচালনা করা যাবে। রোবটে সংযুক্ত থাকছে একটি সেন্সর যেটির মাধ্যমে রোবটি আগুন এর পরিমাণ, তাপমাত্রা যাচাই করে অগ্নি নির্বাপনের কাজ করতে পারবে। পানির জন্য রোবটে থাকবে একটি ট্যাংক। এই রোবট তৈরির সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটি তড়িৎকৌশল এবং পকৌশল বিভাগের প্রভাষক মো. আসরাফুল ইসলাম এবং আবু শাকিল আহমেদ।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা চমকপ্রদ আরেকটি রোবট তৈরি করেছেন। যেটি বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে এমনকি মঙ্গলগ্রহেও কাজ করতে সক্ষম। রোবটটি তৈরি করেছেন বিভাগের শেষ বর্ষে শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ প্রবাল ও ফাহিম আহমদ হামীম।
এই রোবটের নাম দেয়া হয়েছে ‘মারস্ রোবার’। যেটিকে পৃথিবীতে বসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মঙ্গলগ্রহেও চালানো যাবে। রোবটে ৪টি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে যা দিয়ে মঙ্গলে স্থাপিত হলেও রোবটের সকল কর্মকান্ড পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
এই রোবটের প্রধান কাজ হচ্ছে- মাটি, পাথর ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভিন্নগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব অনুসন্ধান, আশপাশের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি। এই কাজগুলো করার জন্য রোবটটিতে বিভিন্ন ধরনের সেন্সর আছে যেমন- গ্যাস, টেম্পারেচর, সোনার, ম্যাজারিং, ওয়েট সেন্সর ইত্যাদি।
এ ব্যাপারে লিডিং ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক রুমেল এম.এস রহমান পীর বলেন- ইমতিয়াজ ও ফাহিম ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়ান রোবারস্ চ্যালেঞ্জ ২০১৮’- এ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। তাছাড়া দেশে অনুষ্ঠিত অনেক রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় তারা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ‘মারস্ রোবার’ তৈরিতে সুপারভাইজার ছিলেন প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম রাকিব এবং কো-সুপারভাইজার ছিলেন প্রভাষক আবু শাকিল আহমেদ।