জাবের হোসেন: বিশ্ব ব্যাংকের এক জরিপে বলা হয়েছে, দেশে প্রায় সাড়ে ৭ হাজার ইট ভাটা রয়েছে। এ হিসাবের বাইরেও অবৈধ ভাটা রয়েছে অসংখ্য। যার কালো ধোঁয়ায় প্রতিনিয়ত ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্রোর। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী আধুনিক ইটভাটায় কাঠের পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে কয়লা। আর ব্যারেল চিমনীর বদলে ব্যবহার করতে হবে ফিক্সস্ট চিমনী। সচেতন মহল বলছে, ইটভাটা বন্ধে বিভিন্ন সময়ে অভিযান চললেও খুব একটা লাভ হয় না । তাই সরকারের তদারকি বাড়ানোর তাগিদ পরিবেশবাদীদের। চ্যানেল২৪।
নীতিতে রয়েছে সিটি করপোরেশন এলাকায় কোন ইটভাটা থাকতে পারবে না। তবে ভিন্ন চিত্র গাজীপুরে। মহানগরের ভেতরে ইটভাটা আছে ৮৫টি। বাইরে আছে ১৬০ টি। যার মধ্যে ৬০টি ইট ভাটার কোন কাগজপত্র নেই। তাই এরই মধ্যে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তর উপ পরিচালক মো.আব্দুস সালাম সরকার বলেন, যে ইটভাটা গুলো আইন অমান্য করে চলছে সেগুলো আমরা উচ্ছেদ করছি।
দেশের অন্য জেলার চিত্রও ভিন্ন নয়। ঝিনাইদহ জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। এমনকি ফসলি জমির পাশে ইটভাটা হওয়ায় বিপাকে কৃষক। আর ইটভাটার মালিকদের দাবি নিয়ম মেনেই কাজ করছেন তারা। এলাকাবাসী বলছে অন্য কথা। তারা বলেন, ভাটার মালিকরা আস্তে আস্তে সব জমি দখল করে নিচ্ছে, ফসলি জমি অনেক কমে যাচ্ছে। ভাটার পাশের জমিগুলোতে ফসল হচ্ছে না।
ধুলো-ময়লা আর ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। এর জন্য সরকারের সুষ্ঠু পদক্ষেপ চান নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। ঝিনাইদহ পরিমেবশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ইটভাটা করার ক্ষেত্রে সরকারের যে নিয়মনীতি আছে সগেুলো কেউই মানছেনা। এবং মানানোর জন্য কোন কর্তৃপক্ষও নেই।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, প্রত্যন্তÍ এলাকায় আমাদের নজর এড়িয়ে অবৈধ ইটভাটা গুলো গরে উঠেছে। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া বলেন, যে কোন একটি জেলাতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সব আইনকানুণ মেনেই তাদের ইটভাটা করতে হবে। সরকারের নানা উদ্যোগের পর যথাযথ তদারকির অভাবে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করেন পরিবেশবাদীরা।