মারুফুল আলম : সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম বলেছেন, দুদক বাংলাদেশের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। দুদক সবকিছু ন্যায্যভাবে করেছে বা তারা ধোয়া তুলসী পাতা এই দাবি দুদক নিজেও করে না। এ কথাটি জনগণও বিশ্বাস করে না। দুদকের কর্মকর্তারা নিজেদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। অবৈধ সম্পদ জব্দে দুদকের ক্ষমতার অপব্যবহারের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, তদন্ত চলাকালীন সময়ে যদি কারো সম্পদ ক্রোক বা বাজেয়াপ্ত করতে হয়, সেই সম্পদ যে অবৈধ উপায়ে গড়া হয়েছে তার যথেষ্ট প্রমান থাকতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘রাইট টু প্রপার্টি’ নাগরিকের মৌলিক অধিকার। সোমবার ডিবিসি’র রাজকাহন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতাকে যদি জুডিশিয়াসলি ব্যবহার করা হয়, তাহলে মানুষের হয়রানির সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা দেখে আসছি যে, যখনই কাউকে কোনো ক্ষমতা দেয়া হয়, তখনই তিনি ওই ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। ক্ষমতাকে নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন।
তবে, অবৈধভাবে অর্জিত কারো সম্পদ অনুসন্ধাকালেই ক্রোক করার যৌক্তিক কারণ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেমন কারো একাউন্টে প্রচুর টাকা পাওয়া গেছে, কিন্তু টাকার সোর্স এর ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তি স্পষ্ট কিছু বলতে পারছে না বা প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে যে, সোর্সটি তার পরিচিত না। তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে জব্দ করার ক্ষমতা দুদকের আছে এবং এটি নতুন কিছু নয়। কারণ, টাকাটা সরিয়ে ফেলা হলে পরবর্তীতে দোষী সাব্যস্ত হলেও দূর্নীতিলব্ধ সম্পদ উদ্ধার করা কঠিন। এক্ষেত্রে টাকাটা যেনো সরাতে না পারে, অনুসন্ধানকালেই কোর্ট একাউন্ট ক্রোক করার অর্ডার দিতে পারে।
ব্যারিস্টার তানজীব মনে করেন, কোর্ট অনুসন্ধানকালে কারো একাউন্ট জব্দ করলেই যে অধিকার খর্ব হবে তাও কিন্তু নয়। নাজমুল হুদার একাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছিলো। উনার বিরুদ্ধে মামলা চলমান ছিলো। তখন উনি প্রয়োজনে কোর্টে আবেদন করে করে বিভিন্ন সময় টাকা উত্তোলন করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :