তরিকুল ইসলাম : শহরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ও একই দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদারের বাড়িসহ অন্তত ছয়টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এক ডজন ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় যশোরে মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটকও করা হয়েছে বলে আমাদের নতুন সময়কে আজ (সোমবার) জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান।
তিনি আরো জানান, ঘটনার পর এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জড়িত অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। আটককৃত দুই জন হলেন মেহবুব মেনসেল ও মেহেদী হাসান। মেহবুব মেনসেল সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা এবং তিনি এমপি কাজী নাবিল আহম্মেদ অনুসারী হিসেবে পরিচিত। মামলা দুটির বাদী যথাক্রমে এসআই হাসান ও এস আই শামীম। আওয়ামী লীগের দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে পুলিশ।
গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের কাজীপাড়া এলাকায় সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদের বাসভবন লক্ষ্য করে অজ্ঞাত দুবৃর্ত্তরা তিনটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এর মধ্যে দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঈনুদ্দিন মিঠু ও সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল দাবি করেছেন, ‘রাতে সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ যশোরের বাসাতেই ছিলেন।
তবে, বিস্ফোরণে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি।’ ওই রাতেই যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান লালের ষষ্ঠিতলার বাসভবন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফয়সাল খানের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনের ছাদ, শাহীন চাকলাদারের চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার বাসভবন এবং শাহীন চাকলাদারের মালিকানাধীন শহরের গাড়িখানা রোডের অভিজাত হোটেল জাবের ইন্টারন্যাশনাল, চাকলাদার ফিলিং স্টেশন ইত্যাদি স্থানে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।