উল্লাস মূর্তজা : রাজধানীতে শীতের প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো। ছিন্নমুল শিশুরা আরও বেশী সমস্যায় পড়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর আসে, অনেক ঠান্ডা লাগে, শীতের জামা নাই। তীব্র শীত থেকে বাঁচতে রাস্তার পাশে, ফুটপাতে ছোট ছোট তাবু টাঙিয়ে থাকছে ছিন্নমুল পরিবারগুলো।
ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু মনে করিয়ে দেয় শীত এসে গেছে। অনেকের কাছে শীত শিহরণ জাগালেও ছিন্নমুল ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মুখ থেকে হাঁসি কেড়ে নিয়েছে শীত। বিশেষ করে যাদের ঠাঁই রেল ষ্টেশনে, ফুটপাতে কিংবা পথের ধারে তাদের কষ্টটা অনেক বেশী।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে যা আগামী সপ্তাহে রুপ নেবে শৈত্যপ্রবাহে। ২৫ তারিখের পর থেকে দেশের উত্তর, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে, এসময় তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকবে।
আগাম শীতে বৃদ্ধ, শিশু, ছিন্নমুল, গরবীব-অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে বিপাকে। তবে উচ্চ ও মধ্যবিত্তের মানুষেরা শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে লেপ তোষক এবং গরম কাপড় কেনার জন্য দোকানপাট গুলোতে ভীড় জমাচ্ছেন। কেউবা আবার খড়কুটা পুড়িয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
এদিকে, শীত বাড়ায় ভোগান্তি বাড়ছে ছিন্নমুল ও সাধারণ মানুষের। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেশি পোহাতে হচ্ছে। কারণ প্রতিবছর ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন সংগঠন থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও এবার এখনো শুরু হয়নি শীত বস্ত্র বিতরণ। সাধারণ মানুষ শীত নিবারণের জন্য চেয়ে থাকে বিভিন্ন সংগঠনের দিকে।
অপর দিকে শীত বাড়ায় বাড়ছে বিভিন্ন ঠান্ডা জনিত রোগ। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগিদের হাসপাতালে ভর্তি হতে দেখা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগিদের ভর্তি করা হচ্ছে। এতে মেডিসিন বিভাগে বেড়েছে রোগির চাপ। সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :