মো.সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নিজ নির্বাচনী এলাকা সদর উপজেলা রুহিমানপুর মাদারগঞ্জ বাজারে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাসহ কমপক্ষে ৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন।
রোববার রাত ৯টায় রুহিমানপুর মাদারগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু সায়েম পরাগসহ ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
আহত আবু সায়েম পরাগের ভাষ্যে জানা যায়, বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুলের পোষ্টার লাগালে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ছেড়ে ফেলে বাধা প্রদান। পরে তারাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে কয়েকজন কর্মীর মাথা ফেটে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলা রুহিমানপুর মাদার গঞ্জ এলাকায় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু সায়েম পরাগ স্থানীয় কর্মীসহ বিএনপির প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পোষ্টার লাগাতে গেলে একই এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী বাধা প্রদান করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবু সায়েম পরাগ গুরুতর আহত হয়।
তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ঘটনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের উপর দায় চাপানোর জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করছে। আমরা বিএনপির প্রার্থী পোষ্টার লাগানোর বিষয়ে কোন বাধা প্রদান করি নি। তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
ঠাকুরগাঁও জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি নুরুজ্জামান নুরু জানান, প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমাদের প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণায় হামলা ও বাধা প্রদান করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করলে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন এই নেতা।
ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে আমরা সজাগ রয়েছি।