নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাধীনতা কাপের চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকার ভাগ্যে সর্বশেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে পা রেখেছে নবাগত বসুন্ধরা কিংস। নির্ধারিত সময় শেষে ম্যাচ ২-২ ব্যবধানে ড্র। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও নেই কোনো গোলের দেখা। মীমাংসা পেতে তাই পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায় ম্যাচ। সেখানে নাটক ছড়িয়ে ম্যাচ জিতে নেয় বসুন্ধরা কিংস।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পেনাল্টি শুটআউটে ৩-২ ব্যবধানে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমি ফাইনালে পা রেখেছে কিংসরা। এ জয়ে শেষ চারে ঢাকা আবাহনীকে পাচ্ছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।
মৌসুমের সবচেয়ে বড় বাজেটের বসুন্ধরা কিংস আর বরাবরই তলানিতে থাকা দল রহমতগঞ্জ। পারফরমেন্স কিংবা শক্তির বিচারে ফলাফল অনুমান করা গেলেও প্রতিপক্ষ শিবির যখন জায়ান্ট কিলার রহমতগঞ্জ তখন তখন আগেভাগে ফল বলাটা কঠিনই। ডু অর ডাই ম্যাচ। স্টেডিয়ামে অঘটনের আভাসটা ম্যাচের শুরু থেকে। বিশ্বকাপ খেলা ড্যানিয়েল কলিনড্রস ছিলেন না কিংসের শুরুর একাদশে। সেই সুযোগটাই কিনা নিল রহমতগঞ্জ।
শুরু থেকে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণ। মাঠের খেলায় উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। ম্যাচের ২৫ মিনিটে কাজটা করলো জায়ান্ট কিলার রহমতগঞ্জ। জটলা থেকে গোল করেন জামাল হোসেন। ১-০ তে লিড পুরান ঢাকার দলটির। গোল হজম করে মরিয়া বসুন্ধরা। একে একে আক্রমণ সব ভেস্তে গেছে গোলাম জিলানীর ডিফেন্সের কাছে। লিড ধরে রেখেই বিরতিতে যায় রহমতগঞ্জ।
নাটকীয়তা আরো জমে উঠে দ্বিতীয়ার্ধ থেকে। ৫৭ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন কলিনড্রেস। নেমেই সেট পিস থেকে দারুণ এক কিক নেন এই কোস্টারিকান। গোলবার ঘেসে বল বাইরে গেলে রক্ষা পায় ফয়সাল-শাকিলরা। অবশ্য দলকে সমতায় ফেরাতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষায় রাখেনি ঐ কলিনড্রেস। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে সতীর্থের পাস থেকে দারুণ এক গোল করেন এই ফরেন রিক্রট। ১-১ সমতায় দু’দল।
অবশ্য ৪ মিনিট পরই আবারো লিড নেয় জিলানী শিষ্যরা। মাঝমাঠ থেকে বল দখল করে জুনাপিওর পাস থেকে লম্বা কিকে গোল করেন দেশীয় ফয়সাল। ২-১ এ এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ। শেষ মুহূর্তে চরম উত্তেজনা রূপ নেয় ম্যাচে। সমতায় ফিরতে আক্রমণ চালায় বসুন্ধরা। দারুণ কিছু সম্ভাবনা তৈরি করে বসুন্ধরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট খানেক আগে নাটকীয় এক গোলে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা। গোলটি করেন বখতিয়ার।
আপনার মতামত লিখুন :