শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৬ দুপুর
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতিদিন তৈরি হয় ৩ হাজার ৮০০ টন বর্জ্য

শাহীন চৌধুরী : দেশে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় ভয়াবহ মিথেন গ্যাসের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য শহরগুলো। এটি কার্বন ডাই অক্সসাইডের চেয়েও ২১ গুণ বেশি বিপজ্জনক। সম্প্রতি বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) দু’দিন ব্যাপী গবেষণা সম্মেলনে ‘অর্গানিজ সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড দ্য আরবান পুওর ইন ঢাকা সিটি’ শীর্ষক এক গবেষণায় এসব বিষয় উঠে এসেছে। যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন করেন মিতালী পারভীন এবং আনোয়ারা বেগম।

রাজধানী ঢাকায় প্রতিজন মানুষ দিনে ০.৫৬ কেজি বর্জ্য উৎপাদন করছে জানিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতিদিন ৩ হাজার ৮০০ টন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশই অর্গানিক বর্জ্য। এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল। ফলে বর্জ্য পচে গিয়ে দুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে এর সঙ্গে মিথেন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে। যা জনস্বাস্থ্যসহ গ্রিণ হাউজ প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করছে।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনে দিনে ঢাকায় শহরে ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ব্যাপক পরিমাণে অর্গানিজ (সবজি বা অন্যান্য পচনযোগ্য বর্জ্য) বর্জ্য উৎপাদন হচ্ছে। অর্থাৎ যেসব বর্জ্য পচে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ঢাকা সিটি করপোরেশনের সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় এই ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই ক্ষতির শিকার বেশি হচ্ছে।

প্রফেসর নুরুল আলম বলেন, অর্গানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজর দেওয়া খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব বাড়ছে। এক্ষেত্রে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে ১৯৯১ সালে জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল ১৫ হাজার ৩৩৩ জন। সেটি বেড়ে ২০০৪ সালে হয়েছে ১৮ হাজার ৫৫ জন। ২০১১ সালে জনসংখ্যার এই ঘনত্ব আরো বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২৯ জনে। ফলে ঢাকা শহরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বেকারত্ব, জ্বালানি শক্তির সংকট, পরিবেশ দূষণ এবং সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

প্রতিবেদনে, ঢাকার বাইরে পুরো দেশের শহরাঞ্চলের বর্জ্য উৎপাদনের একটি চিত্রও তুলে ধরা হয়। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সালের দেশের শহরগুলোতে প্রতিদিন ৬ হাজার ৪৯৩ টন বর্জ্য উৎপাদন হতো। ২০০৫ সালে এসে সেটি বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৩০০ টনে। আবার আগামী ২০২৫ সালে সেটি বেড়ে গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৪৭ হাজার ৫৪ টনে। এ অবস্থায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে অর্গানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশেষ নজর দেওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্লাস্টিক, সিলভারসহ এ ধরনের বর্জ্যগুলো এখন কিছুটা রিসাক্লিনিং করে পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু পুরো বর্জ্যের মধ্যে ৭৮ শতাংশ অর্গানিক বর্জ্যের কোনো ব্যবস্থাপনা হচ্ছে না। ঢাকা সিটি করপোরশেনের জনবল কম থাকায় তারা বর্জ্য সংগ্রহ করে জমিতে ফেলছে। ফলে সেখানে বর্জ্য পচে গিয়ে মাটি এবং ভূ-অভ্যন্তরীণ পানির উৎস এবং বাতাস দূষিত করছে।

প্রতিবেদনে এজন্য ছোট আকারে মানুষ তাদের বাড়ির ছাদের উপর মাত্র দু’টি গাড়ির টায়ার ব্যবহার করে বায়োগ্যাস উৎপাদন করতে পারে। এতে পরিবারের রান্নার জ্বালানি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এখন থেকে যেসব বর্জ্য উৎপাদন হবে তা জৈব সার হিসেবে গাছে ব্যবহার করা যাবে। এটি বড় আকারে সরকারিভাবে যদি উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে অর্গানিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বায়োগ্যাস উৎপাদন করা হলে মিথেন গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হবে। পাশাপাশি কৃষকরা জমিতে জৈব সার হিসেবে উচ্ছিষ্টগুলো ব্যবহার করতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়