শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৫৬ সকাল
আপডেট : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ০৬:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কীভাবে বেড়ে উঠি আর কীভাবে চেয়ে দেখি!

আশরাফ রাসেল : আপনি জানেন. হয়তোবা জানেন না! কীভাবে বেড়ে উঠি আর কীভাবে চেয়ে দেখি, জগতের খেলা বোঝা বড় দায়!

০ থেকে ০৬, ‘এই বয়সটা কাদামাটির’। এ সময়টা তারা তাদের বাবা-মাকে কাছে পেতে ব্যাকুল হয়ে থাকে, তাদের ভালোটা শিখার বয়স, কেনো না তারা তখন কাদামাটি। আপনি তাদের যেভাবে তৈরি করবেন, তারা সেভাবেই তৈরি হবে।
০৬ থেকে ১২, ‘এই বয়সটা ছোটাছুটির’। এসময়টা তাদের খেলাধুলার। আপনি তাদেরকে খেলাধুলার সুযোগ করে দিন, দেখবেন তারা মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হবে না।

১২ থেকে ১৮, ‘এটি হচ্ছে উড়ন্ত বয়স’। এই বয়সে যা দেখে সবই রঙ্গীন, ভালোলাগা মন্দলাগা তার পার্থক্য করা হয় না। ছুটছে তো ছুটছে, বেঁধে রাখা বড়ই কঠিন। তাই এ সময়টাতে বকাঝকা, রাগ-ক্ষোভ না ঝেড়ে যত পারেন ভালোবেসে বন্ধুর মত পাশে থাকুন। দেখবেন আপনি যেভাবে চাইবেন ঘুড়ি সেভাবেই উড়বে।

১৮ থেকে ২৪, ‘এটি বসন্ত’। এসময়ে জীবনে অনেক রঙ-ঢং বয়ে যায় বসন্তের বাতাসে। লক্ষ্য রাখতে হবে বাতাসে যেনো হেলে না পড়ে। বাতাস আসবে আনন্দ দেয়ার জন্য, আনন্দ দিয়ে যেনো চলে যায়।

২৪ থেকে ৩২, ‘এটি হচ্ছে দুরন্ত বয়স’। এসময় সিদ্ধান্ত নেয়ার পালা, কাজ করার পালা, তার সঠিক স্থানে পৌঁছার পালা। তাকে যা বলবেন, সে দুরন্তভাবে তাই করবে। সেটা ভালো হলে ভালো, আর মন্দ হলে আপনি ভালো জানেন; কেন না সিদ্ধান্তটা আপনি নিয়েছেন। অতএব তাকে অযথা ফেলে না রেখে তার সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য আপনি হোন অগ্রগামি।
৩২ থেকে ৪০, ‘এটি হচ্ছে চলন্ত বয়স’। এই সময়ে যা অর্জন হবে তা দিয়ে চল্লিশের পর চলতে হবে। এককথায়, অধিক পরিশ্রমে নিজেকে তৈরি করা।

৪০ থেকে যতদিন যায়, তা হলো ‘পড়ন্ত’। যার মাধ্যমে অনেক কিছুর ইতি ঘটে, ডেকে যায় জীবনের সোনালী সময়গুলো, বদলে দেয় অনেক কিছু। বাড়িয়ে দেয় হাজারো দায়িত্ব, চিন্তায় টেনশনে নিজেকে নিয়ে যায় বহুদূর, যেখান থেকে না ফেরা যায়, না কিছু বলা যায়! শুধুই দেখে যায় যা করে সবাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়