শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ১৫ নভেম্বর, ২০১৮, ০৩:৩৯ রাত
আপডেট : ১৫ নভেম্বর, ২০১৮, ০৩:৩৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আস্থাভাজন নির্বাচন কমিশন কি সম্ভব?

তাসমিয়া নুহিয়া আহমেদ : নির্বাচন কমিশন হলো সেই সংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন ভিত্তিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে রক্ষার উদ্দেশ্যে যার জন্ম। বলতে খুব সহজ মনে হলেও একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করা কোনোভাবেই সহজ কাজ নয়। সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাশন কমিশন হবে সম্পূর্ণ স্বাধীন। কোনো পক্ষ যাতে চাপ প্রয়োগ করে বাড়তি সুবিধা নিতে না পারে, সেজন্য কমিশনারদের পাঁচ বছরের মেয়াদকে সুরক্ষাও দিয়েছে সংবিধান। শুধুমাত্র যেসব কারণে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতিকে অপসারণ করা যায়, কেবলমাত্র সেসব ক্ষেত্রেই কোনো নির্বাচন কমিশনারের পদচ্যুতি সম্ভব। কমিশনারদের মোহমুক্ত রাখার লক্ষে সংবিধানের ১১৮(৩) ধারায় আছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন শেষে কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রের অন্য কোনো পদে নিয়োগ পেতে পারবেন না। অন্য কমিশনাররা মেয়াদ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়া অন্য কোনো সরকারি পদে যোগ দিতে পারবেন না। ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশে উল্লেখ আছে, রাষ্ট্রের সব নির্বাহী অঙ্গ নির্বাচনের সময় ইসির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করতে বাধ্য থাকবে।

নানা রকম নাটকীয় মোড় পেরিয়ে দুয়ারে হাজির একাদশ জাতীয় নির্বাচন। সমপ্রতিযোগিতার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কমিশন-ঘোষিত নির্বাচনের তারিখ এক মাস পেছানোর দাবি করেছিলো। যার প্রেক্ষিতে ভোটের তারিখ এক সপ্তাহ পেছানোর পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে কমিশন বদ্ধপরিকর।

ভুললে চলবে না, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ কার্যতঃ সফল হয়নি। বিরোধীদের দাবিগুলোর মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে সরকার ও কমিশনের ওপর তাদের অনাস্থা, অবিশ্বাস।

আইনজীবী হিসেবে একটা কথা আমি অনেকবার শুনেছি। তা হলো, ‘শুধু ন্যায়বিচার হলেই চলবে না। ন্যায়বিচারকে হতে হবে দৃশ্যমানও।’ এ কথাটি প্রথম শোনা যায়, বিচারকের নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতা নিয়ে ওঠা এক অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য ব্রিটিশ আদালতে চলা এক মামলার রায়ে। মামলার রায়ে এই নীতিটাই প্রতিষ্ঠিত হয় যে, সামান্যতম পক্ষপাতিত্বের আভাস পাওয়া গেলেই একজন বিচারকের রায় অকার্যকর হয়ে যাবে। আমরা যদি এই একই নীতি আমাদের নির্বাচন কমিশনের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে যাই, তাহলে কী হবে?

আমার মতে, নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা বা নিরপেক্ষতা নিয়েই যখন প্রশ্ন উঠেছে, কমিশনের উচিত; তারা যে আইন মোতাবেক কাজ করছেন, এটা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়া। আমার ধারণা, এ সমস্যার সমাধান সম্ভব; যদি নির্বাচন কমিশন খোলামনে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেয়। লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, ডেইলি আওয়ার টাইম। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়