শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৩:২৬ রাত
আপডেট : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ০৩:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমেরিকার AIChE থেকে অ্যাওয়ার্ড

কামরুল হাসান মামুন

 

The American Institute of Chemical Engineers (AIChE) has just announced the name of the Environmental Division Graduate Student Award and the winner is: Mohammad Saiful Islam! Congratulations and the best wishes for you!

যদিও তোমাকে সরাসরি চিনি না কিন্তু এই অ্যাওয়ার্ডটি পাওয়ার কথা শোনামাত্র বুকের মধ্যে একটি গর্ববোধ অনুভব করেছি।

আমেরিকার একাডেমিয়াতে শিক্ষক-ছাত্রদের নানারকম অ্যাওয়ার্ড দিয়ে একাডেমিয়াতে যারা আছে তাদের মধ্যে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার একটি সুপ্ত ড্রাইভ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এই অ্যাওয়ার্ড কারা পাবে সেটা ঠিক করতে গিয়ে কোনপ্রকার রাজনৈতিক পরিচয়, প্রার্থীর ধর্মীয় বা এথনিক পরিচয় ইত্যাদি কোন কিছুই আমলে নেয়া হয় না। কিন্তু আমাদের এখানে বলা যায়, মোটা দাগে রাজনৈতিক।

গত ২৫-৩০ বছরে যারা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তাদের এইসব পরিচয় ঘাটলে দেখা যাবে (মোটা দাগে) যে, যখন যেই দল ক্ষমতায়, অনেক ক্ষেত্রেই সেই ঘরানার শিক্ষকরাই অ্যাওয়ার্ড পায় এইরকম একটা চিত্র পাওয়া যেতে পারে ঠিক অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোর মতো। হয়তো ঠিক মানুষটিই পেয়েছেন, কিন্তু আমাদের দলবাজি মাথায় রাখলে একটু সন্দেহ আসবেই। আমরা যদি এই সন্দেহটা দূর করতে পারতাম তাহলে এই এওয়ার্ডের মূল্যায়ন আরো আনন্দের এবং গর্বের হতো। আবার অ্যাওয়ার্ড দেয়ার পদ্ধতিটিও বেশ হাস্যকর। এখানে বেস্ট গবেষক অ্যাওয়ার্ড অথবা বেস্ট শিক্ষক অ্যাওয়ার্ড দেয়ার আগে শিক্ষকদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়।

অর্থাৎ একজন শিক্ষককে ভাবতে হবে যে সে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার যোগ্য। এখন এই এওয়ার্ডের জন্য অনেকেই দরখাস্ত করবে কিন্তু পাবে একজন। আমার কাছেতো এটা মারাত্মক humuliating মনে হয়। আমি আজ পর্যন্ত কোন এওয়ার্ডের জন্য দরখাস্ত করিনি এবং জীবনে কোনদিন যেন আমার এই ভীমরতি কখনো না হয়। ধরুন, এই সাইফুল ইসলাম সে আমেরিকার একটি খ্যাতিমান প্রফেশনাল বডি অওঈযঊ থেকে অ্যাওয়ার্ড পেলো, সেকি এই অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছিল? আমার ধারণা অবশ্যই ‘না’! সেতো ছাত্র! শিক্ষক হয়ে দরখাস্ত করে অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার আশা করা মানায় না।

আমেরিকাতে কতো গ্রাজুয়েট ছাত্র আছে? এরা যদি এতো ছাত্র বা শিক্ষকদের মধ্যে থেকে বাছাই করতে পারে আমরা কেন পারবো না? এটা যদি এমন হয় হঠাৎ কোন এক সকালে, কোন এক শিক্ষক একটি চিঠি কিংবা ফোন কল পেয়ে প্রথমবারের মত জানলো যে, সে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তাহলে আনন্দের মাত্রাটা টের পেয়েছেন? তার উপর সেটা যদি কোন প্রকার রাজনৈতিক baised ছাড়া হয় কেমন আনন্দের হবে? আমরা বেস্ট শিক্ষক গবেষকের অ্যাওয়ার্ড দেই কিন্তু বেস্ট ক্লাস-রুম শিক্ষকের অ্যাওয়ার্ড এখনো চালু করতে পারিনি। কারণ, আমরা মনে করি, ছাত্ররা শিক্ষকদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারবে না। এই ধারণার সাথে আমি একদম একমত নই।

শিক্ষকদের মান উন্নয়নের করণীয় ঠিক করতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটি প্রজেক্ট ছিল। শুরুতে ছাত্র কর্তৃক শিক্ষক মূল্যায়নের ব্যাপারটি ছিল। পরে দেখলাম এটা এখন আর নেই। সারা পৃথিবীর ছাত্ররা, এমন কি আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পর্যন্ত শিক্ষকদের মূল্যায়ন করে। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক এবং ভালো গবেষক মাহদী রহমানকে প্রায়ই দেখি ছাত্রদের মূল্যায়নে কিভাবে উৎসাহিত হয়। পৃথিবীর ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়মগুলো যদি আমরা অনুসরণ না করি আমরা কিভাবে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় গড়বো? আমরা শুরু না করেই কিভাবে এই সিদ্ধান্তে আসি যে আমাদের ছাত্ররা পারবে না? ফেসবুক থেকে।

পরিচিতি : অধ্যাপক, ঢাবি/ সম্পাদনা : ফাহিম আহমাদ বিজয়, রেআ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়