আসিফুজ্জামান পৃথিল : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বুদ্ধির কারণে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে লবণাক্ততা। এই হারে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেতে থাকলে ২১৪০ সালের মধ্যে পুরো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকাই লবণাক্ত হয়ে পড়বে। সম্প্রতি ক্লাইমেট নিউজ নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
গঙ্গা- ব্রহ্মপুত্র (পদ্মা-যমুনা) নদী ব্যবস্থা বিশ্বের বৃহত্তম যৌথ নদী ব্যবস্থা এবং মিঠা পানির বৃহত্তম রিজার্ভার। কিন্তু মিষ্টি পানির সুবিশাল এই উৎস এখন হুমকির সম্মুখিন। জলবায়ু বিষয়ক গবেষণা পোর্টালটির মতে এজন্য যেমন জলবায়ু পরিবর্তন দায়ি, তেমনি নদীগুলোর উজানে ক্রমাগত বাঁধ দিয়ে পানি আটকে রাখাও লবণাক্ততার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পেতে থাকলে এ অববাহিকার কৃষকরা প্রতিবছর তাদের কৃষি আয়ের এক পঞ্চমাংশ পর্যন্ত হারাতে পারেন। ফলে অল্প কিছু বছরের মধ্যেই দেশের প্রায় ২ লাখ কৃষক জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হয়ে দেশের অভ্যন্তরভাগে প্রবেশ করবেন। তবে গবেষণাটি বলছে, তুলনামূলক ধনী কৃষকরা ধান উৎপাদনের বদলে নোনা পানি কেন্দ্রিক ভিন্ন ব্যবসা যেমন মাছের ঘের বা চিংড়ি-কাকরা উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছেন। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় নতুন ধরনের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তৈরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ওহিওর জয়েস চেন বলেন, ‘দূর্বাগ্যজনকভাবে এটি অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল কৃষকদের চ্যালেঞ্জ জানানোর সমতূল্য। আমার মতে ধনী লোকেরাই সর্বশেষ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর সবার আগে ক্ষতিগ্রস্থ হবে গরিবরা। কারণ যাদের সম্পদ কম একবার তাদের ফসল নষ্ট হলে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে না। তাদের ভিন্ন কোন পেশায় নামতে হয়।’ ওয়েব, সম্পাদনা : শরিফ উদ্দিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :