রাশিদ রিয়াজ : সৌদি আরবের জালানিমন্ত্রী খালিদ আল ফালিহ বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগজি হত্যাকা-ের বিষয়টি নিয়ে তার দেশের ওপর যে আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তার প্রেক্ষিতে কোনো জালানি নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ইচ্ছা নেই রিয়াদের। ১৯৭৩ সালে আরব যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রে তেল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল সৌদি আরব। কিন্তু সৌদি জালানিমন্ত্রী বলেন, তার দেশের এধরনের কোনো ইচ্ছা নেই। তিনি বলেন, অতীতে আমরা রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়েছিলাম এবং তা নতুন কিছু নয়। সিএনএন
রুশ বার্তা সংস্থা তাস’কে দেয়া সাক্ষাতকারে সৌদি জালানিমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব দায়িত্বশীল একটি দেশ। দশকের পর দশক ধরে আমাদের তেলনীতি অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবেই গুরুত্ব পাচ্ছে এবং তা কোনো রাজনীতির অংশ নয়। আমরা আশা করি বিশ্ব রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে এগিয়ে আসবে এবং খাশোগজিকে নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা জ্ঞানের সঙ্গে সমাধা করবে। সৌদি আরব রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্যে জ্ঞান চর্চার মাধ্যমেই এগিয়ে যাবে।
তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসে খাশোগজিকে হত্যার পর রিয়াদের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি হয়। দেশটির তেল সম্পদকে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু তা ব্যবহারে বেশ ঝুঁকিও রয়েছে। তাস’কে সৌদি জালানিমন্ত্রী জানান, তার দেশ দিনে এক কোটি ৭ লাখ টন ব্যারেল তেল উত্তোলন করছে। গত জুন পর্যন্ত এর পরিমান ছিল ৮ লাখ ৮৫ হাজার ব্যারেল। সৌদি তেলমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে তার দেশ দিনে এক কোটি ২০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল উৎপাদন করতে পারে। ইরানের তেল রফতানিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়ে আসছেন।