সাইদ রিপন: আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল দিয়েডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ভোটের আগে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় সংশোধন আনতে যাচ্ছে নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।
সংশোধিত আচরণবিধি অনুমোদন দিতে কমিশন সভাডেকেছে ইসি।
রবিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ সভা শুরু হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন। তবে এই সভায় যুক্তরাষ্ট্রে থাকায় সম্প্রতি নানা বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসা নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার উপস্থিত নেই।
আজকের কমিশন সভার আলোচ্য সূচিতে চারটি বিষয় রাখা হয়েছে। এগুলো হলো-সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিকদল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা ২০০৮-এর সংশোধন; স্বতন্ত্র প্রার্থীর (প্রার্থিতার পক্ষে সমর্থনযাচাই) বিধিমালা ২০১১সংশোধন এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্যনীতিমালা ২০১৮ নামে নতুন করে একটি নীতিমালা প্রণয়ন। এছাড়া বিবিধ নামেওএকটি এজেন্ডা রাখা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকলে কেউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এমন- ধারা যুক্ত হচ্ছে সংশোধনী আচরণবিধিতে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্রজমা দেয়ার ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের বাধ্যবাধকতা শিথিল করা, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে প্রচারণায় অংশনেয়ার ক্ষেত্রেও কিছু ধারা সংযোজন, জীবন্ত প্রাণী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ, অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলসহ কিছু ধারা যুক্ত হচ্ছে আচরণবিধিতে।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, ইসির কমিশন সভায় এসব বিধি অনুমোদন পেলে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। ভেটিংহয়ে আসার পর এগুলোবিধিতে পরিণত হবে। ইসির আচরণবিধিতে কোনো ধরনের সংশোধন কার্যকরেরজন্য মন্ত্রিসভার অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
আপনার মতামত লিখুন :