শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আরও শক্তিশালী হচ্ছে ঢাকা জেলা পুলিশ

ডেস্ক রিপোর্ট : অপরাধ প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পরোক্ষ ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া, সন্ত্রাস ও জঙ্গিতৎপরতা রোধ, যানজট নিয়ন্ত্রণসহ সড়ক নিরাপদ রাখা, গোয়েন্দা সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের মতো বিভিন্ন অপরাধ দমনের নৈমিত্তিক কাজ তো আছেই। অথচ ঢাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ জেলায় পুলিশের জনবল সংকট দীর্ঘদিনের। এ পটভূমিতে এ জেলা পুলিশকে আরও শক্তিশালী করতে ক্যাডার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পদে ৪৬৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা জেলা পুলিশে পদ আছে দুই হাজার ১০৯টি। অথচ বর্তমান চাহিদায় এ জনবল খুবই কম। এ পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালের শুরুর দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা পুলিশের সাংগাঠনিক কাঠামো সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। প্রস্তাবে ১৬টি পুলিশ সুপার, তিনটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদে মোট দুই হাজার ৬২৫টি পদ সৃষ্টির অনুমোদন চাওয়া হয়। পাশাপাশি এপিসি, ওয়াটার ক্যানন ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ২১৮টি যানবাহন চাওয়া হয় প্রস্তাবে। পুলিশের এই প্রস্তাবের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদ সৃষ্টির প্রস্তাব পাঠায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৫০০টি পদ সৃষ্টির অনুমোদন দেয়। পাশাপাশি ২০টি যানবাহনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। এসব প্রস্তাবে আর্থিক বিষয় থাকায় তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ বিভাগ ৪৬৯টি পদের অনুমোদন দেয়। পাশাপাশি ২০টি যানবাহনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়।
জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর গত ২৬ আগস্ট প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় প্রস্তাবটি তোলা হলে তা অনুমোদন পায়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ ও এনটিএমসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা জেলা পুলিশের জনবল ও পরিবহন বৃদ্ধির প্রস্তাব প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় অনুমোদন দিলেও ক্যাডার পদ থাকায় সরকারি আদেশ জারি করতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে সরকারি আদেশ জারি করা হবে।’
ঢাকা জেলা পুলিশের জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের ওঅ্যান্ডএম বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক মো. নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা জেলায় জনসংখ্যা ও অবকাঠামো বেড়েছে। তৈরি পোশাকশিল্পসহ বিভিন্ন শিল্প-কলকারখানা বৃদ্ধি পেয়েছে, এর সঙ্গে বাড়েছে অপরাধ প্রবণতাও। জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সেই তুলনায় জনবল কম। এছাড়া ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার রাজধানী থেকে জেলার কেরানীগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে। এসব পরিস্থিতিতে জনবল বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো সরকারের কাছে।’
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাভার মডেল থানা, আশুলিয়া, ধামরাই কেরানীগঞ্জ মডেল, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার থানা নিয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের কার্যক্রম। বাড়তি হিসেবে রাজধানী ঘিরেই চলে জেলা পুলিশের তৎপরতা। এসব কারণে কৌশলগত, প্রশাসনিক ও অপারেশনাল দিক থেকে ঢাকা জেলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

পুলিশ বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটন এলাকার পাশেই ঢাকা জেলার সব থানা। এছাড়া ঢাকা জেলায় হাজার হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পাশাপাশি অপরাধ প্রবণতাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। এছাড়া সাভার ও আশুলিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির ঠেকানো, এসব এলকার সড়কে যানজট নিরসনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন নিত্যদিনের ঘটনা।
অন্যদিকে, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে যনজট নিরসনে বাড়তি পুলিশ প্রয়োজন হয়।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, গোয়েন্দা শাখায় মঞ্জুরি পদ মাত্র ৩৭ জন। এ জনবল নিয়ে গোয়েন্দা শাখাকে হিমসিম খেতে হয়। এছাড়া সাইবার অপরাধ বাড়লে আইসিটি শাখায় জনবল কম। এসব বিবেচনায় আইসিটি শাখায় জনবল বাড়ানো প্রয়োজন।
সাংগাঠনিক কাঠামো সংস্কার প্রস্তাব অনুযায়ী ঢাকা জেলা পুলিশে বাড়তি যোগ হবে একজন পুলিশ সুপার, নিরস্ত্র পরিদর্শক পাঁচজন, সশস্ত্র পরিদর্শক চারজন, ট্রাফিক পরিদর্শক পাঁচজন, নিরস্ত্র সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আটজন, সশস্ত্র সহকারী পরিদর্শক আটজন, সার্জেন্ট ১২ জন, উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) ১৮ জন, কনস্টেবল ৩৯০ জনসহ মোট ৪৬৯ জন।
যানবাহন যোগ হবে পাঁচটি ট্রাক (পাঁচ টন), একটি প্রিজন ভ্যান, একটি রেকার, একটি ওয়াটার ক্যানন ও ১৬টি মোটর সাইকেল। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়