শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারবেন না ইমরান ও বুশরা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু

প্রকাশিত : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:২৬ সকাল
আপডেট : ২৭ আগস্ট, ২০১৮, ০৫:২৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়ার জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই : বিএনপি

শাহানুজ্জামান টিটু : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। এতে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে সরকার প্রধান, তার দলের সাধারণ সম্পাদকসহ মন্ত্রী বর্গ তাদের বক্তব্যে একটি বিষয়ে প্রকাশ হচ্ছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জড়িত। দলটি বলছে, যদিও এই মামলায় তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জড়িত হওয়ার কোনো আইন গত বিষয় নেই। কারণ এই মামলা তার নাম নেই।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আইনমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন এই মামলার রায় হলে বিএনপি নতুন করে সংকটে পড়বে এই বক্তব্যের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি হলো বিচারাধীন মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী ও সরকারি দলের নেতারা নিবিঘ্নি এবং ক্রমাগত এমন বক্তব্য রাখতে পারেন যা মামলা প্রভাবিত করতে পারে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ মামলা চলাকালে এমন হয়েছে যে তার ফলাফল মামলার রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে।

মির্জা ফখরুল বললেন, যে দেশে তারেক রহমানকে নির্দোষ ঘোষণার পর বিচারিক আদালতের বিচারককে দেশত্যাগে বাধ্য হতে হয় এবং নিম্ম আদালতকে প্রশাসনের অধিনস্থ রাখার সরকারি অপচেষ্টার বিরোধীতা করার কারণে দেশের প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগ ও দেশত্যাগে বাধ্য হতে হয়। সেদেশে এটাই তো স্বাভাবিক। কোন রায় কবে হবে সেটা এখন বিচারক নয় আইনমন্ত্রী স্থীর করেন। বিচার বিভাগের উপর কতচা নিয়ন্ত্রণ থাকলে এটা তিনি করতে পারেন তা সহজেই বোধগম্য। মহাসচিব বলেন, ২০১১ সালে পুলিশ রির্পোট পেশ হওয়ার আগেই তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন যে- গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে জড়িত করা হবে। হয়েছেও তাই। অর্থাৎ মামলার তদন্তকারীদের উপরেও সরকারের প্রভাবের মাত্রা কতটা তা বোঝা যায়।

মির্জা ফখরুল প্রশ্ন রাখেন, সরকারি দলের সাধারণ সম্পাাদক মামলার রায় হওয়ার আগে কিভাবে বলতে পারেন যে, এই মামলার রায় হওয়ার পর বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে পড়বে। এর অর্থ হলো তিনি জানেন যে, কি রায় হতে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বলা এসব বক্তব্যকে কোন বিচারেই গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার কিংবা আইনের শাসনের পক্ষে বলা যাবে না। একমাত্র স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই শুধু এমন ঘটনা সম্ভব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা এবং তার ফলে মিসেস আইভি রহমানসহ অনেক নারী পুরুষের জীবন নাশ ও আহত হওয়ার নৃশংস ঘটনার আমরা তখনও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি, এখনও জানাই। আমরাও ওই ঘটনার জন্য দায়ী প্রকৃত অপরাধীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কারণ আমরাও চাই এমন নির্মম অরাজনৈতিক ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।

তিনি বলেন, কিন্তু এই ঘটনাকে পুঁজি করে সরকার ও সরকারি দল যেভাবে বিএনপি ও বিএনপির মূল নেতাদের অন্যায়ভাবে বিপদাপন্ন করার জন্য সরকারের পুলিশ, গোয়েন্দা, তদন্ত কর্মকর্তা এমনকি বিচার বিভাগকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের নগ্ন প্রায়স চালাচ্ছে-তা কোন সভ্য সমাজেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দুর্বল করার জন্য এমন অরাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচারণ ও গণতান্ত্রিক সভ্য সমাজে অচল। সরকার অনির্বাচিত এবং তার ফলে জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধ না হওয়ার জন্যই বর্তমান সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতার এমন অপব্যবহার করার সাহস পাচ্ছে। অবশ্য এসব গণবিরোধী হিংসাত্মক আচরণ এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জন্য জনগণের কাছে তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা অবশিষ্ট নেই। স্কুলের শিশু কিশোররা পর্যন্ত এই সরকাকে বিশ্বাস করে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়