শিরোনাম
◈ ‌বি‌সি‌বিতে সভাপ‌তি হ‌য়ে আস‌ছেন  আ‌মিনুল ইসলাম বুলবুল! ◈ বাংলাদেশ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে : নিক্কেই ফোরামে প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে: সেনাপ্রধান ◈ বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য: টানাপড়েনের মধ্যেও বহমান আন্তঃনির্ভরতা ◈ পলাতক আ.লীগের নেতাদের জমি বিক্রির হিড়িক: টাকা পাচার হচ্ছে দুবাই, কানাডা, ইউরোপে! ◈ সরকারের নতুন আয়কর প্রস্তাব: নতুনদের জন্য ছাড়, উচ্চ আয়ের জন্য কর হার বাড়ছে ◈ আমাদের সমুদ্র সোনার খনি:‘ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ◈ এ এক অন্য রকম আয়নাবাজী: ১২ বছর ধরে অন্যের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি, অবশেষে ফাঁস হলো প্রতারণা ◈ পল্লী বিদ্যুতের চেয়ারম্যান অপসারণের আল্টিমেটাম ◈ অবসরে যাওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা পেতে যাচ্ছেন সুখবর

প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:৪১ রাত
আপডেট : ১৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৩:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুরবানি না করলে কী শাস্তি হবে?

আমিন মুনশি : ঈদুল আজহার দিন (১০ জিলহজ) সুবহে সাদিক থেকে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে যার কাছে নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব।

নিসাবের পরিমাণ হলো, সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা এর মূল্য পরিমাণ টাকা বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ। (জায়গা-জমি, ঘর-বাড়ি ছাড়া)

বর্তমানে সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপা বা এর মূল্য পরিমাণ টাকা বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদই নিসাব হিসেবে ধর্তব্য।

যে ব্যক্তি মনে করে, ঈদুল আজহার দিনগুলোতে তার কাছে কুরবানি ওয়াজিব হয় এ পরিমাণ সম্পদ থাকতে পারে সে ব্যক্তি আগ থেকেই কুরবানির পশু কিনে রাখতে পারে। তবে পশু কিনে রাখলে ওই পশুই কুরবানি করতে হবে এমন বধ্য বাধকতা নেই। কুরবানির দিনগুলোতে যে কোনো একটি পশু কুরবানি দিলেই ওয়াজিব আদায় হয়ে যায়।

পক্ষান্তরে কোনো ব্যক্তি যদি কুরবানির দিনগুলোতে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক না হয়ে থাকে তাহলে তার ওপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না। এমতাবস্থায় যদি সে ব্যক্তিও কোনোভাবে কুরবানি দেওয়ার জন্য পশু কিনে থাকে বা কোনো পশু কুরবানির জন্য নির্দিষ্ট করে থাকে তাহলে অবশ্যই ওই পশুটিই কুরবানি দিতে হবে।

যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব সে ব্যক্তি কুরবানি দিলে অবশ্যই অনেক সাওয়াবের অধিকারী হবে।

যেমন হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কুরবানি দেয় সে কুরবানিকৃত পশুর গায়ের পশম পরিমাণ সাওয়াব পাবে। এ ছাড়াও কুরবানি দেওয়ার আরও অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে অসংখ্য হাদিসে।

কুরবানি না দিলে তার কঠোরতার কথাও বলা হয়েছে অনেক হাদিসে। যেমন হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি সামর্থ থাকা সত্ত্বেও কুরবানি করল না, সে যেন ঈদগাহে না আসে।

কুরবানি তরককারী অবশ্যই ওয়াজিব তরকের গুনাহগার হবে। অন্য দিকে যার ওপর কুরবানি ওয়াজিব নয় সে ব্যক্তি যদি কোনোভাবে কুরবানির ব্যবস্থা করে তাহলে সে নফল ইবাদত হিসেবে অবশ্যই বিশাল সাওয়াবের অধিকারী হবেন।

হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ হয়েছে, বান্দার যত বেশি নফল ইবাদত করতে থাকে আমি তত বেশি তাকে ভালোবাসতে থাকি। ভালোবাসতে বাসতে এক সময় আমি তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শুনে, আমি তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে, আমি তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলে।

১০ জিলহজ সকাল বেলা শহরের প্রথম ঈদের জামাতের পর থেকে ১২ জিলহজ মাগরিব পর্যন্ত তিন দিনই কুরবানি করা যায়, তবে প্রথম দিন কুরবানি দেওয়াই বেশি উত্তম।

দ্বিতীয় দিন তৃতীয় দিনের চেয়ে উত্তম। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকলে রাতের বেলায়ও কুরবানি করতে কোনো অসুবিধা নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়