রাশিদ রিয়াজ : যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক আলী রীয়াজ প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কারা গাড়ি ভাঙছে? ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ
গুলো হচ্ছে, এক. শ্রমিকদের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ, শিক্ষার্থীদের মারধর; দুই. রাস্তায় ছাত্রদের ওপরে পিকাপ ভ্যান চালিয়ে দেয়া ও সার্ক ফোয়ারা মোড়ে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে ছাত্ররা যখন বাসের যাত্রীদের নামিয়ে দেয় এবং বলে 'আমরা গাড়ির কিছু করব না। এই গাড়ি নিরাপদ না।’ সেই সময়ে একজন বহিরাগত হঠাৎ করেই গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করে।
আরো পড়ুন: পুলিশ দিয়ে আন্দোলনকারীদের কোনভাবেই দাবায়ে রাখা সম্ভব না: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
এ প্রসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ছাত্ররা দেখছিল লাইসেন্স, গাড়ি ভাঙছিল কে?
এ ব্যাপারে মতিউর রহমান নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের আন্দোলনরত শিশুরা বাংলাদেশের ভবিষৎতের ব্যাপারে আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আলী রিয়াজকে ফেসবুকে শাহিনা নাজনীন আহবান জানিয়ে বলেন, স্যার আপনারা দেশে ফিরুন ,একক দল বা নেতৃত্ব বাদ দিয়ে সম্মিলিত বুদ্ধিজীবি , টেকনোক্র্যাট এবং সিস্টেম তৈরি করুন যাতে দলমত নির্বিশেষে দেশ একটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের মতো করেই রাষ্ট্র পরিচালিত হবে যেখানে শতভাগ নাগরিক অধিকার এবং নাগরিক সুবিধা রক্ষিত হবে!
আরো পড়ুন: আন্দোলনের সংজ্ঞাই পাল্টে দিলো ওরা!
শনির আখরায় ধনিয়া কলেজ ছাত্রদের অবরোধ চলাকালে একটি পিকআপ ভ্যান ছাত্রদেরকে চাপা দিয়ে চলে যায়; ছেলেটি বেঁচে আছে বলে জানাচ্ছেন খোজিস্তা বেগম জোনাকি, কিছুক্ষণের মধ্যে এমন আরেকটি স্ট্যাটাস দেন আলী রিয়াজ।