শিমুল মাহমুদ : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোটারের তুলনায় বেশি ভোট সহ জাল ভোট দেয়ার প্রতিবাদে নিজের ভোট দেননি বিএনপির প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।
ভোট রাতেই কেন্দ্রে ভোট কাটা ,পুলিশ প্রশাসন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং অফিসার, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবসহ তাদের নীলনকশার বাস্তবায়ন হয়েছে বলে অভিযোগ করে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অবস্থান নগরীর ইসলামিয়া কলেজ কেন্দ্রের মাঠে অবস্থান নেন তিনি।
নির্বাচনী কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট পেপারের হিসাব দাবি করে তিনি বলেছেন, বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি ওই মাঠে অবস্থান নিয়ে থাকবেন। শেষ পর্যন্ত ওই মাঠেই ছিলেন তিনি। বিকেল ৪টায় ভোটের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় আর ভোট দেয়া হয়নি বুলবুলের।
এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যার চেয়েও বেশি ভোট বাক্সে পড়ে গেছে। ব্যালট পেপার ফুরিয়ে যাওয়ায় অন্য কেন্দ্র থেকে ব্যালট এনে ভোটের কার্যক্রম চলাচ্ছে। আমি ১১টা সোয়া ১১টার দিকে এ কেন্দ্রে আসার পরে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার রুমে আমার পোলিং এজেন্টদের নিয়ে ঢুকি, যাদের বের করে দেয়া হয়েছিল। ওই রুমে যাওয়ার পরে বলা হয়, আমাদের এখানে ৩২৫টি করে ভোট ছিল, সব দেয়া হয়ে গেছে। দুইটা বুথে মনে হয় ১০০ ব্যালট রয়েছে। ২২৪৮টি ভোটের মধ্যে মেয়রের বাদ বাকি ভোট দেয়া হয়ে গেছে।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালটের হিসাব দাবি করে বুলবুল বলেন, কী পরিমাণ ভোটার রয়েছে, কী পরিমাণ ভোট পড়েছে- এসব তথ্য না দেয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে উঠব না।
নিজের ভোট দেননি কেন- এ প্রশ্নে বুলবুল বলেন, বিপন্ন গণতন্ত্রে আমার পোলিং এজেন্টরাও ভোট দিতে পারে নাই; বের করে দিয়েছে। সেখানে আমার ভোট দিয়ে কী লাভ?
বুলবুল বলেন, আমি এখানে অবস্থান ধর্মঘট করেছি। ৪টা পর্যন্ত জাতির কাছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন, তাদের সন্তান ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে আমার প্রশ্ন, জাতিকে আজ কোন দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে?