ইমরান সালেহ প্রিন্স : সাজানো মিথ্যা মামলায়, ফরমায়েশি রায়ের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গত ফেব্রুয়ারী মাসের ০৮ তারিখে অন্যায়ভাবে জেলে পাঠানো হয় । তার জামিনে সরকার হস্তক্ষেপ করে তার কারাবাসের সময়কে দীর্ঘায়িত করছে। এর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই আমরা সোচ্চার ছিলাম। এর মধ্যেই উনার অসুস্থতা আরো বেড়েছে এবং সুচিকিৎসার ব্যাপারটাও সামনে চলে এসেছে। তাই আমরা উনার সুচিকিৎসা এবং মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে কোথাও কোন মিছিল বা বিক্ষোভের কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর পরে আমরা সমাবেশ করেছি তাও বারো ঘন্টার নোটিশে তেইশটি শর্ত দিয়ে আমাদেরকে পল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়। এর পরেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়েছে আমাদের সমাবেশে। পক্ষান্তরে প্রায় দু’মাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে তারা যে শোডাউন করতে চেয়েছিল, জনগণ কিন্তু সেখানে সাড়া দেয়নি। এর দ্বারা বোঝা যায় যে, জনগণ বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার সাথেই আছে। এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি, এটা একটি যৌক্তিক দাবি, সময়ের দাবি। বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া বিএনপি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। আমরা আইনজীবিদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, বর্তমানে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। উনি হাটতে পারছেন না। সারা শরীর ফুলে গিয়েছে । জ্বরসহ অনেক রোগে আক্রান্ত। সরকার উনার চাহিদা মত তা দিচ্ছে না। আমরা অবিলম্বে সরকারকে বেগম জিয়ার চাহিদা অনুযায়ী এবং জেলকোডে যেটা আছে যে, একজন প্রথম শ্রেণীর নাগরিক তার চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে পারবে, সেটাই আমরা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
পরিচিতি: সাংগঠনিক সম্পাদক, বিএনপি/মতামত গ্রহণ: ফাহিম আহমাদ বিজয় /সম্পাদনা: মুহাম্মদ নাঈম