শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১২ জুলাই, ২০১৮, ০২:১৪ রাত
আপডেট : ১২ জুলাই, ২০১৮, ০২:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রথমবারের মত দেখা মিলল থাই বালকদের (ভিডি্ও)

লিহান লিমা: প্রথমবারের মত দেখা মিলল থাইল্যান্ডের থাম লুয়াং গুহা থেকে উদ্ধারকৃত ফুটবল বালকদের। বুধবার প্রকাশিত ছবিতে দেশটির চিয়াং রাই হাসপাতালের বেডে তাদের মাস্ক ও গাউন পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।

গ্লাসের বাহিরে অপেক্ষরত পরিবারের সদস্যদের বিজয়সূচক চিহ্ন দেখাচ্ছিলেন তারা। এদিন থাই নেভি সিলও বালকদের উদ্ধারকাজের একটি ভিডিও প্রকাশ করে।

১১ থেকে ১৬ বছর বয়সী এই বালকদের হাসপাতালের বিশেষ কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ডাক্তারা এখনো তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন। সংক্রমণ ছড়ানোর ভয়ে তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা দিয়েছে, গ্লাসের মধ্য দিয়ে সন্তানদের দেখে কান্নায় ভাসছিলেন পরিবারের সদস্যরা।

১৮ দিন পর্যন্ত গুহায় আটকে পড়ে থাকা কিশোর দল ও তাদের কোচকে অভিযানের তৃতীয় দিনে থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলিয় গুহা থাম লুয়াং থেকে উদ্ধার করা হয় । সোমবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ৪জন এবং রোববার প্রথম দিনের অভিযানে ৪ জনকে উদ্ধারের পর মঙ্গলবার অপেক্ষারত ৪ বালক ও কোচকে উদ্ধার করা হয়। ঝুুঁকিপূর্ণ ও বিস্ময়কর এই উদ্ধার অভিযান শেষ করার পর নাই নেভী সিলের টুইট পেজে বলা হয়, ‘১৩ জনকে বের করা হয়েছে, এটি কি বিজ্ঞান, নাকি মিরাকল?’।

উদ্ধারের পর তাদের এম্বুলেন্স ও হেলিকাপ্টারের সাহায্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। থাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব জেসাসা চোকডা¤্রংসুকে বলেন, এতদিন ধরে আবদ্ধ , অন্ধকারাচ্ছন্ন ও সংকীর্ণ স্থানে থাকার ফলে তাদের শরীরের তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। প্রতিটি বালকের রক্ত পরীক্ষার জন্য ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে। দুই জনের ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজনের হৃদস্পদন খুবই কম। তবে প্রথমে উদ্ধারকৃত ৪ বালককে তাদের পরিবার জানালার বাহিরে থেকে দেখতে পেয়েছে। তারা হাঁটতে ও ফোনে কথা বলতে পারছে। কিন্তু সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কায় তাদের বের হতে দেয়া হচ্ছে না।

গুহার ভেতরে প্রবেশ করার পর ২৩ জুন প্রবল বৃষ্টিপাতের মুখে গুহামুখ বন্ধ হলে গেলে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে গুহার ৪ কিলোমিটার দূরে আটকা পড়ে তারা। ৯ দিন পর তাদের খোঁজ পায় ডুবুরি। কর্তৃপক্ষ প্রথমে গুহার পানি কমার অপেক্ষা করলেও পরে ঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কায় তাদের দ্রুত বের করার সিদ্ধান্ত নেয়।

বালকদের মধ্যে অনেকে সাঁতার না জানায় এই উদ্ধার কাজ অনেক কঠিন হয়ে পড়েছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১ হাজার মিটার নিচে অবস্থানের কারণে সেখানে অক্সিজেনের উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। তাদের অক্সিজেন বোতল সরবরাহ করে ফিরে আসার পথে শুক্রবার জীবন দিয়েছেন থাই নৌ-বাহিনীর ডুবুরি সামান খুনান (৩৮)। তাদের উদ্ধার করতে কাজ করেছেন ৪০ জন থাই এবং ৫০ জন বিদেশি ডুবুরি সহ ১ হাজার উদ্ধারকর্মী। ৪০ সেন্টিমিটার সংর্কীণ অন্ধকারাচ্ছন্ন গুহাপথ পেরিয়ে প্রতিটি শিশুকে উদ্ধার করতে দুই জন প্রশিক্ষিত ডুবুরির সময় লেগেছিল কয়েক ঘন্টা। প্রথম ৪ জনকে উদ্ধারের পরপরই কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছিল, অক্সিজেন লেভেল ১৫ ভাগ কমে গিয়েছে।

থাইল্যান্ডের ইলেক্টিসিটি জেনারেল অথরিটির ডুবুরি নারোঙ্গাসুক কেসুব বলেন, এটি আমাদের পরিচালিত সবচেয়ে কঠিন অভিযান। প্রতিটি পদক্ষেপই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কেসুব টানেলে সিল টিমের জন্য এয়ার ট্যাংক সরবরাহ করেছেন। উদ্ধারকায শেষের পর তিনি সিএনএনকে বলেন, গুহার ভেতরে ডুবুরিদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে। আমরা শুধুমাত্র আমাদের হাত পর্যন্ত দুরুত্বে দেখতে পেতাম, দ্বিতীয়ত, গুহাপথে থাকা ধারালো পাথর ছিল আমাদের জন্য খুবই মারাত্মক। তৃতীয়ত, টানেলটি ছিল খুবই সংর্কীণ। তবে আমাদের অভিযানের আবেগ সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হয়েছিল আমাদের সন্তানরা ভেতরে আটকা পড়ে আছে আর আমরা তাদের বের করতে কাজ করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়