মাওলানা আমিনুল ইসলাম: আল্লাহ তায়ালা পুরুষকে যে পুরুষালী স্বভাবে সৃষ্টি করেছেন তাকে তা বজায় রাখা এবং নারীকে যে নারীত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন তাকে তা ধরে রাখাই আল্লাহর বিধান। এটা এমনি এক ব্যবস্থা, যার ব্যত্যয় হলে মানব জীবন ঠিকঠাক চলবে না।
পুরুষের নারীর বেশ ধারণ এবং নারীর পুরুষের বেশ ধারণ করা স্বভাববিরুদ্ধ কাজ। এর ফলে অশান্তির দুয়ার খুলে যায় এবং সমাজে উচ্ছৃংখলা ও বেলেল্লাপনা ছড়িয়ে পড়ে। শরিয়তে এ জাতীয় কাজকে হারাম গণ্য করা হয়েছে।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, ‘রাসূল (সা.) পুরুষদের মধ্যে নারীর বেশ ধারণকারীদের এবং নারীদের মধ্যে পুরুষের বেশ ধারণকারিণীদের অভিশাপ দিয়েছেন’।
ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে আরও বর্ণিত আছে,‘রাসূলুল্লাহ (সা.) নারীর বেশ ধারণকারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষবেশী নারীদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন’।
এই অনুকরণ উঠাবসা, চলাফেরা, কথাবার্তা ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যেমন দৈহিকভাবে মেয়েলী বেশ ধারণ করা, কথাবার্তা ও চলাফেরায় মেয়েলীপনা অবলম্বন করা কিংবা পুরুষের বেশ ধারণ করা ইত্যাদি। পোশাক ও অলংকার পরিধানেও অনুকরণ রয়েছে। সুতরাং পুরুষের জন্য গলার হার, হাতের চুড়ি, পায়ের মল, কানের দুল পরা চলবে না। অনুরূপভাবে মহিলারাও পুরুষদের জামা, পাজামা, প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি পরতে পারবে না।
নারীদের পোশাকের ডিজাইন পুরুষদের থেকে ভিন্নতর হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালার লা‘নত সেই পুরুষের উপর যে মেয়েলী পোশাক পরিধান করে এবং সেই নারীর উপর, যে পুরুষের পোশাক পরিধান করে’। সুতরাং উভয়ের কারো জন্যই স্ব স্ব বেশভূষা বদল করা জায়েয হবে না।