শিরোনাম
◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোট পড়েছে ৬০.৭ শতাংশ ◈ তীব্র তাপদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত গণবিরোধী: বিএনপি ◈ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কাজ করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ◈ বিএনপি দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে: ওবায়দুল কাদের ◈ উপজেলা নির্বাচনে হার্ডলাইনে বিএনপি, ৭৩ নেতা বহিষ্কার ◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন 

প্রকাশিত : ২৪ জুন, ২০১৮, ০৮:২৪ সকাল
আপডেট : ২৪ জুন, ২০১৮, ০৮:২৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাঘটিকে স্থানান্তর করা হলো যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতের পূর্বাঞ্চলে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৫ কেজি ওজনের একটি পুরুষ বাঘকে মধ্যপ্রদেশ রাজ্য থেকে উড়িষ্যার একটি অভয়ারণ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে। কাজটি করার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বন বিভাগের বহু কর্মকর্তা, পশু চিকিৎসক এবং পাঁচটি হাতি।

বাঘটির বয়স তিন বছর। বন কর্মকর্তাদের কাছে বাঘটি পরিচিত এমবি টু নামে। এতদিন ধরে এটা বসবাস করত মধ্যপ্রদেশের কানহা জাতীয় পার্কে। ওই পার্কটি মূলত পাখিদের অভয়ারণ্য ও বাঘ সংরক্ষণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।

২০ জুন এমবিটুকে ৪১০ মাইল দূরের উড়িষ্যার সাতকোষিয়া সংরক্ষিত এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় বন বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতে এই প্রথম এ ধরনের একটি স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন হলো।

কর্মকর্তারা বলছেন, ওই অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে পর্যায়ক্রমে এ রকম পাঁচটি বাঘকে উড়িষ্যায় স্থানান্তর করা হবে। তার মধ্যে এমবি টুকে প্রথম স্থানান্তর করা হলো।

বন বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যে লক্ষ্য নিয়ে এসব পুরুষ বাঘকে উড়িষ্যার সাতকোষিয়া সংরক্ষিত এলাকায় স্থানান্তর করা হচ্ছে, আশা করা যাচ্ছে যে সেই আশা পূরণ হবে, সেখানে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।’

সাতকোষিয়া অভয়ারণ্যে আছে মাত্র দুটো বাঘিনী। সেখানো কোনো পুরুষ বাঘ নেই।

এ বিষয়ে মধ্যপ্রদেশের প্রধান বন সংরক্ষক সঞ্জয় শুক্লা বলেন, ‘তারা সেখানে বাঘের সংখ্যা বাড়াতে চায়। এ কারণে তারা কিছু পুরুষ বাঘ চেয়েছিল আমাদের কাছে।’

অবশ্য এই কাজটা খুব একটা সহজ ছিল না। এমবি টু বাঘটিকে পাকড়াও করে ধরা ছিল তাদের জন্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রথমে তাকে খুঁজে বের করতে হয়, তারপর দূর থেকে তীর (ডার্ট) ছুড়ে করতে হয় অচেতন। এখানেই শেষ নয়, বাঘটিতে পরিবহনের জন্যে খাঁচাসহ একটি বিশেষ ট্রাকও তৈরি করতে হয়।

বাঘটি সাতকোষিয়া অভয়ারণ্যে গিয়ে পৌঁছায় পরদিন দুপুরে।

তারপর সংরক্ষিত এলাকার একটি কোণার দিকে বাঘটিকে ছেড়ে দেওয় হয়। নতুন পরিবেশে প্রাণীটি কীভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়, আগামী কয়েকদিন ধরে তার ওপর নজর রাখবেন কর্মকর্তারা।

বাঘটি যদি ঠিকঠাক মতো সেখানে খাপ খাইয়ে নিতে পারে, তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে অরণ্যের পরিবেশে। কর্মকর্তারা বলছেন, এটি সফল হলে বাকি বাঘগুলোকেও এক এক করে এখানে নিয়ে আসা হবে।

মধ্যপ্রদেশের দুটো জাতীয় পার্ক থেকে সাতকোষিয়ায় আনা হবে আরও চারটি বাঘ। তার মধ্যে একটি বাঘিনীও আছে।

সূত্র : বিবিসি বাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়