রফিক আহমেদ : বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী বলেছেন, গণতন্ত্রের চর্চা করে বলেই আওয়ামী লীগ একটি সর্ববৃহত্তর রাজনৈতিক দল। এই দল সারাবিশে^ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট শাহবাগ থানা শাখার উদ্যোগে সেগুনবাগিচাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারাহ বেগম কবরী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা সারাবিশে^ একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বাঙালি জাতির যার কিছু অর্জন সবকিছুই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের অবদান। শেখ হাসিনার আলোতেই সারাবিশে^ বাংলাদেশ আলোকিত। তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মীদের আশ্রয়স্থল, বাঙালি জাতির ঠিকানা। শেখ হাসিনার কারণেই আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছি। যে গণতন্ত্রকে ৭৫’র পর হত্যা করা হয়েছিল, জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তিনি বাঙালি জাতিকে এইসবের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন- ৭১’র পরাজিত শক্তি ৭৫’র পর যে চক্রান্ত শুরু করেছিল আওয়ামী লীগকে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দেওয়ার, শেখ হাসিনা এদেশে ফিরে না আসতেন তাহলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকতো না। আর ক্ষমতায়ও আসতে পারতো না।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতাকর্মীদের প্রাণই হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। এই নেতাকর্মীরা কিছু চান না। তারা দলের জন্য সবসময় ত্যাগ স্বীকার করে যাচ্ছেন। ১/১১’র সময় এই ত্যাগী কর্মীরা স্লোগান দিয়েছিল শেখ হাসিনা ছাড়া আমরা কিছু মানি না, শেখ হাসিনা ছাড়া আমরা কিছু বুঝি না। আওয়ামী লীগের অনেক দুঃসময়ে-দুর্দিনে অনেক নেতারা ভোল পাল্টিয়ে ছিলেন। কিন্তু দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের সঙ্গে বেঈমানী করেনি। এখনো কিছু ধান্দাবাজ, তদবিরবাজ, আদম ব্যবসায়ী, সুবিধাবাদী দলে ভিড়ে গেছেন। যারা কখনো দুঃসময়ে-দুর্দিনে আওয়ামী লীগে ছিলেন না, ওয়ার্ড কমিটিতেও ছিলেন না।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে এদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। তাই মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে আবারও জননেত্রী তাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে। শেখ হাসিনাই হচ্ছে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা দিলীপ সরকারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি এটিএম শামসুজ্জামান, সহ সভাপতি পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, মোবারক আলী শিকদার, চিত্রনায়িকা ফারজানা আমিন নতুন, সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরুনা বিশ^াস, কবি রবীন্দ্র গোপ, মনোরঞ্জন ঘোষাল ও শাহ আলমসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।