আবু সাঈদ ফাহিম: ডায়রিয়া বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান জনস্বাস্থ্য সমস্যা। প্রতিদিন ছোট কিংবা বড় যেকোনো বয়সের মানুষই আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। শীতকালের তুলনায় গ্রীষ্মকালে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ভয় কেবলই খাবার পানি নিয়ে।তাছাড়া রাস্তাঘাটের খোলা খাবার, আধাসিদ্ধ বা কাঁচা খাবার খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা তো আছেই।
চলুন জেনে নেয়া যাক ডায়রিয়ার লক্ষণ, প্রতিকার ও প্রতিরোধের উপায়-
লক্ষণ:
১. ২৪ ঘণ্টায় তিনবার বা এর বেশি পানিসহ পাতলা পায়খানা হওয়া
২. শরীর দুর্বল হওয়া
৩. খাওয়ায় রুচি কমে যাওয়া
৪. ডায়রিয়া শুরুর প্রথম দিকে বমি হয়। পরে অনেক ক্ষেত্রে বমি কমে যায়
৫. জ্বর এলেও খুব তীব্র হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীর হালকা গরম থাকে।
ডায়রিয়া হলে করণীয়:
১. রোগীকে বারে বারে খাবার স্যালাইনসহ তরল খাবার খাওয়ান এবং শিশুর ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ মতে জিংক ট্যাবলেট খাওয়ান।
২. রোগীকে স্বাভাবিক ও পুষ্টিকর খাবার খেতে দিন।
৩. শিশুকে মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি খাবার স্যালাইন খাওয়ান।
৪. ডায়রিয়া বেশি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বা নিকটস্থ হাসপাতালে যান।
ডায়রিয়া প্রতিরোধের উপায়:
১. স্যানিটারী/স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা ব্যবহার করুন, শিশুর মলও পায়খানায় ফেলুন।
২. খাওয়ার আগে, পায়খানার পর ও খাবার পরিবেশেনের পূর্বে সাবান দিয়ে ভাল করে দু’হাত ধুয়ে নিন।
৩. পানসহ পরিবারের সকল কাজে টিউবওয়েলের নিরাপদ পানি ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে পানি ফুটিয়ে পান করুন।
৪. খোলা ও বাসি খাবার পরিহার করুন। মাছি, ধুলা-বালি ইত্যাদি থেকে খাবার ঢেকে রাখুন।