শিরোনাম
◈ 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পর্যাপ্ত কারণ ছাড়াই আমাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে' ◈ শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নিকাণ্ডে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, বিদেশি ক্রেতাদের উদ্বেগে রপ্তানিকারকদের সতর্কবার্তা ◈ নেদারল্যান্ডসের শেনজেন ভিসার আবেদনের সুযোগ বাংলাদেশ থেকে ◈ ও‌য়েস্ট ইন্ডি‌জের বিরু‌দ্ধে ৩-০ তে সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ, বল‌ছেন স্পিন বো‌লিং কোচ মুশতাক ◈ নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের অর্থ দেবে না আইএমএফ ◈ আমিই ৩৫০ আফগান পরিবারের দেখভাল করি! পা‌কিস্তা‌নে রশিদ খান‌দের না খেলায় ক্ষুব্ধ শাহিদ আফ্রিদি ◈ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নামা‌নো হ‌লো ১৪ বছ‌রের ক্রিকেটার সূর্যবংশী‌কে ◈ ট্রাম্প‌কে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী, অন্য দেশে হস্তক্ষেপের পরিবর্তে নিজ দেশে লাখো জনতার ক্ষোভ প্রশমন করুন  ◈ চুক্তিতে না এলে চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্কের হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শুরু

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৮, ০৮:৪১ সকাল
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৮, ০৮:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার ফসল তুলবে রোবট

ডেস্ক রিপোর্ট : কৃষিতে উন্নত প্রযুক্তির ছোঁয়া লাগায় উৎপাদন খরচ কমে এসেছে। কষ্ট লাঘব হওয়ার পাশাপাশি কৃষক লাভবান হচ্ছেন। চাষাবাদ থেকে ফসল মাড়াই সব কাজই এখন হয়ে থাকে মেশিনে। এবারে কৃষিতে রোবটকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করছেন বিজ্ঞানীরা। রোবটকে এবার ফসল তোলার কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

জার্মানির মিউনিখ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কেন্দ্রে এক রোবটকে দিয়ে ক্যাপসিকাম ফসল তোলানো হচ্ছে।

এক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হল, ফসল অক্ষত রাখা। গবেষক টোবিয়াস ব্যার্নিঙার বলেন, এখানে আমাদের রোবটের সামনে হাত রয়েছে আর ওপরে এক ভিশন-সিস্টেম রয়েছে। সেই চোখ ক্যাপসিকাম শনাক্ত করে। তার ভিত্তিতে সিস্টেম রোবটের নড়াচড়া স্থির করে দেয়। তারপর রোবট গাছের কাছে গিয়ে ক্যাপসিকাম তুলে নেয়।

কিন্তু এই ফসল তোলা রোবট কি সত্যি মানুষের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় জিততে পারে? কমপক্ষে আদর্শ পরিস্থিতিতে সেটা সম্ভব হতে পারে। টোবিয়াস ব্যার্নিঙার বলেন, ল্যাবের পরিবেশ সত্যি খুব ভালো। এখানে প্লাস্টিকের তৈরি ক্যাপসিকাম রয়েছে। তাদের সবার রং এক। কোনো পাতা তাদের ঢেকে রাখছে না। তাছাড়া সব ক্যাপসিকামের হুবহু একই বৃদ্ধির হার। বাস্তবে পরিস্থিতি এর ঠিক বিপরীত।

কাছের বৃন্তগুলো একইরকম মোটা হয় না। কখনও সেগুলো গাছের খুব কাছে, কখনও দূরে থাকে। রং ক্যাপসিকামের থেকে আলাদা। যথেষ্ট আলো থাকে না, প্রায়ই ঝাপসা ও অন্যরকম মনে হয়। গাছপালার এমন জটিল জগতে এখনও পর্যন্ত চোখে দেখে নির্ভরযোগ্যভাবে শনাক্ত করার কোনো সিস্টেম না থাকায় রোবটকে হাতে করে চালাতে হয়। কিন্তু ফসল তোলার এমন রোবটের প্রয়োজন কী? আসলে ফসল তোলার হাড়ভাঙা খাটুনির জন্য লোক পাওয়া কঠিন হয়ে উঠছে।

তাছাড়া এমন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ফসল তুলতে পারলে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে ব্যয় কমে যাবে, আরও ভালো করে পরিকল্পনা করা যাবে। ফসল তোলার কিছু রোবট উৎপাদনের উপযুক্ত হয়ে উঠেছে।

যেমন একটি রোবট সেন্সরের সাহায্যে মাটির নিচে অ্যাসপারাগাস শনাক্ত করে তুলে নিতে পারে। ৭৫ জনের কাজ সে একাই করে ফেলতে পারে। নেদারল্যান্ডসের এক কোম্পানি আগামী বছরই এ রোবট বাজারে আনতে চলেছে।
মিউনিখের গবেষকরা এখনও এতটা অগ্রগতি হতে পারেননি। অর্থাৎ অর্থনৈতিকভাবে সফল হতে রোবটের অনেক দেরি আছে। এছাড়া এখনও ফসলের ক্ষতি এড়ানো যাচ্ছে না।

রোবট ও মানুষের তোলা ফসলের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট তফাৎ কী? বিশেষজ্ঞ হিসেবে উলরিশ কাল্টেনস্টাডলার বলেন, ‘দেথা যায়, হাতে তোলা ফসলে বৃন্ত অক্ষত রয়েছে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়