শিরোনাম
◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বিএনপি : সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০১৮, ০৫:৪১ সকাল
আপডেট : ২৮ মে, ২০১৮, ০৫:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাহাথিরকে শান্তিতে নোবেল দিতে লাখো মানুষের স্বাক্ষর!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অনলাইনে পিটিশন  দেয়ার পর পরই  তাতে স্বাক্ষর করেছেন ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন স্টার। এতে আরো বলা হয়েছে, চেঞ্জ ডট ওআরজি নামের একটি অনলাইনে এমন পিটিশন করা হয়েছে। তাতে মাহাথির মোহাম্মদকে তুলনা করা হয়েছে বর্ণবাদবিরোধী বিপ্লবী নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে।

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার আবেদনে কয়েক হাজার হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। আলেকজান্দ্রিয়া আব্বাসগাম নামে একজন নারী change.org এ অনলাইনে এই আবেদনটি করেন। এই অনলাইন আবেদনে ৫১ হাজারের বেশি স্বাক্ষর পড়েছে,  এই স্বাক্ষর লাখ ছাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আলেকজান্দ্রিয়া আব্বাসগাম তার আবেদনে লিখেন, মাহাথিরের ‘দৃঢ়তাকে স্বীকৃতি দিতে’ তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা উচিত। আবেদনে তিনি মাহাথিরকে মালয়েশিয়া ‘ম্যান্ডেলা’ হিসেবে অবিহিত করেন। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা স্থানান্তরে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিরও প্রশংসা করা হয়েছে।

চলতি বছরের ৯ মে মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে পাকাতান হারাপান (পিএইচ) জোটের হয়ে ৯২ বছর বয়সী মাহাথির বিজয়ী হন। তার এই বিজয়ের ফলে দেশটির বারিশান ন্যাশনালের দীর্ঘমেয়াদী শাসনের সমাপ্তি ঘটে।

তিনি লিখেছেন, ‘তুন ড. মাহাথির মালয়েশিয়ার জন্য স্বচ্ছতা, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের গুরুত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে- তুন মহাথির খোলাখুলিভাবে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন এবং তার অতীত ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এটি তাকে প্রকৃতপক্ষে ‘মহৎ মানুষে পরিণত করেছে’। একই সঙ্গে এটি তাকে একজন অনুসরণীয় নেতার মর্যাদা এনে দিয়েছে।’

১৯৮১ সাল থেকে টানা ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ২০০৩ সালে অবসরে যান মাহাথির। এই লম্বা সময়ে তিনি মালয়েশিয়াকে পরিণত করেন ‘এশিয়ার ইউরোপে’। কিন্তু তার শিষ্য নাজিব রাজাক ক্ষমতাগ্রহণের পর রাষ্ট্র পরিচালনায় একের পর এক ‘কেলেঙ্কারি’ ও রাজনৈতিক গুরুর পরামর্শকে ‘উপেক্ষা’ করতে থাকলে মাহাথির ফের রাজনীতিতে নামেন। তারই সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের দলের সঙ্গে মিলে করেন নির্বাচনও। এ নির্বাচনে জিতে একেবারে নব্বইয়ের কোঠার রাজনীতিক মাহাথির সরকারপ্রধানের গদি সামলাচ্ছেন নতুন করে।

সমালোচকরা তার বিরুদ্ধে আগের মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময়ে বাকস্বাধীনতার রাশ টেনে ধরা এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর অত্যাচার করার অভিযোগ করেছেন।

প্রসঙ্গত, মহাথির সম্ভবত এই বছরের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হতে পারছেন না। কারণ পুরস্কারটি অর্জনের জন্য একজন ব্যক্তির মনোনয়নের সময়সীমা ছিল ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।   সূত্র: চ্যানেল নিউজ এশিয়া ডটকম/ আরটিএনএন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়