আল্লামা ফরীদউদ্দীন মাসঊদ : দেশে এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম থাকে অনেক বেশি। ভোক্তার ক্ষমতার বাইরে থাকে। ব্যবসায়িরা ততটুকু লাভ করতে পারেন, যতটুকু লাভ হলে তার ব্যবসায় চলবে। কিন্তু সীমাহীন মুনাফা বা লাভ করার অধিকার ইসলাম দেয়নি। বরং ওই সময় খলিফাতুল মুসলিমীনকে হুকুম করা হয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। নির্ধারণ করে দেওয়া হতো যে, এর বেশি পণ্যের মূল্য নেওয়া যাবে না। এটা নির্ধারণ করা হতো মানুষের চাহিদা, ভোক্তার ক্ষমতা, বাজারের অবস্থা বিবেচনায় রেখে। রমজান এলে আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্যে বা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার যে রীতি চালু হয়েছে তা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গর্হিত কাজ। নিন্দনীয় কাজ।
মৌলিকভাবে রমজানের প্রস্তুতির উদ্দেশ্য ছিল, কিভাবে মানুষকে বেশি সেবা দেওয়া যায়। আল্লাহ্্র এবাদত কী করে বেশি করা যায়। আমাদের এখানে রমযানে প্রস্তুতির উদ্দেশ্য হয়ে যাচ্ছে, কী করে অন্যের পকেট কাটা যায়। আর ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া যায়। এই প্রবণতাটাকে রাসূল (স.) অত্যন্ত নিন্দীয় কাজ বলেছেন। বরং তিনি বলেছেন, ‘রমজানে তোমাদের অধীনস্থদের কাজ লাঘব করে দেবে, আখেরাতে তার কাজও আল্লাহ্্ লাঘব করে দেবে।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘রমজান সহানুভূতির মাস, ধৈয্যের মাস। তোমরা মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করো।’ দরিদ্ররাও যাতে রমজান, ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে।
রমজানে আল্লাহ্ রাস্তায় দানখয়রাত করলে সত্তর গুণ বেশি সওয়াব হবে। রমজানে নেক কাজ করার সওয়াব যেমন বেশি, মানুষকে কষ্ট দেওয়া অনেক বেশি গুণাহের অধিকারী হতে হয়।
পরিচিতি : ইসলামি চিন্তাবিদ
আপনার মতামত লিখুন :