সাজিয়া আক্তার : বিশ্ব স্থাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বের মারাত্মক ১০টি ভাইরাসের মধ্যে নিপাহ অন্যতম। গেল ১ সপ্তাহে ভারতের কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক সেবিকাসহ প্রাণ গেছে অন্ত্যত ১৫ জনের। তাই রাজ্য জোরে জারি হয়েছে সতর্কতা। নিপাহ ভাইরাসের প্রতিষেধক না থাকায়, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় ৭০ ভাগ।
নিপাহ ভাইরাস বাদুরের মাধ্যমে ছড়ানো এই ভাইরাসে আদো কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে এতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৭০ ভাগ। গেল ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতের কেরালায় নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে অন্ত্যত ১৫ জনের। এদের মধ্যে রয়েছেন এক সেবিকাও।
কেরালার বিভিন্ন হাসপাতালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অর্ধশত। তাই রাজ্য জোরে জারি করা হয়েছে সতর্কতা।
ইন্ডিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সভাপতি ডা. কে কে আগারওয়াল বলেন, ভাইরাস এরাতে সকলকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কেউ যেনো বাগানে পরে থাকা বাদুরে খাওয়া ফল না খায়। এই ভাইরাস বহনকারী হচ্ছে বাদুর। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়, কেরালায় এর প্রকোপ ঠেকানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ। কেরালায় নিপাহ ভাইরাস ছড়িয়ে পরায় অন্যান্য রাজ্যেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় প্রথম নিপাহ ভাইরাস চিহিৃত হয়। বাংলাদেশে এই ভাইরাস ধরা পরে ২০০৪ সালে । বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে বিশ্বে ১০টি মারাত্মক রোগের মধ্যে নিপাহ ভাইরাস অন্যতম। এ পর্যন্ত মালয়েশিয়া, বাংলাদেশও ভারতে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে ২৬০ জনের।
নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর প্রবল জর, মাথাব্যথা ও বমিবমি ভাব দেখাদেয়। তাই স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অল্প জর হলেও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র: যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :