ডেস্ক রিপোর্ট: কৈলাস পর্বতকে দেবাদিদেব মহাদেবের আবাস বলে বর্ণনা করেছে হিন্দু পুরাণ। ২২০০০ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট এই পর্বত তার চেহারার দিক থেকেও স্বাতন্ত্রপূর্ণ। তার উপরে এই পর্বতের সন্নিহিত মানস সরোবরের অবস্থান একে অন্য মহিমা দান করেছে। আসুন জেনে নেই এই পর্বতের রহস্যময় ছয়টি তথ্য। যার হদিস আজ পর্যন্ত মেলেনি।
১) কৈলাস মানেই মহাদেবের আবাস। আর তার সংলগ্ন মানস সরোবর। এই দুই স্থান শুধু মাত্র হিন্দুদের কাছেই নয়, বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিব্বতের প্রাচীন ‘বন’ ধর্মের কাছেও কৈলাস পর্বত খুবই পবিত্র। আর এই কৈলাসকে ঘিরে রয়েছে নানা ‘মিথ’। দেখে নেওয়া যাক এমনই ১০টি রহস্যের কথা।
২) জৈন ধর্মে কৈলাসের নাম ‘অষ্টপদ’। যেখানে তাঁদের প্রথম তীর্থঙ্কর, রিশপ মোক্ষ লাভ করেন। তিব্বতের বৌদ্ধরা মনে করেন যে, তাঁদের তান্ত্রিক দেব-দেবী দেমচং ও দোরজে ফাগমো থাকেন এই কৈলাসেই। ফলে, এই পর্বতে কারোরই পা রাখা নিষিদ্ধ।
৩) কৈলাস পর্বতকে একবার প্রদক্ষীণ করতে পারলে জীবনের সব পাপ ধুয়ে যায়। এমনই বিশ্বাস তিন ধর্মের। এই প্রদক্ষীণের রীতিকে হিন্দু ধর্মে বলা হয় পরিক্রমা। বৌদ্ধ ও জৈন ধর্মে বলা হয় ‘খোরা’। এবং বারো বার পরিক্রমা করতে পারলে ভূত-ভবিষ্যৎ, সব জীবনের পাপস্খালন হয়ে যাবে।
৪) পৌরাণিক মতে, কৈলাস পর্বতের চারটি মুখ রয়েছে যা ক্রিস্টাল, সোনা, চুনী ও নীলার তৈরি।
৫) কৈলাস থেকে সৃষ্ট চারটি নদী— সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র, শতদ্রু ও ঘাগরা, হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও বন ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই পবিত্র। ঘাগরা নদী এক সময়ে গিয়ে মিশেছে গঙ্গা নদীর সঙ্গে।
৬) বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ ফ্রেশওয়াটার হ্রদ, মানস সরোবর রয়েছে কৈলাসেই। আর তার পাশেই রয়েছে সর্বোচ্চ সল্ট-ওয়াটার লেক, রাক্ষস তাল। মানস সরোবর গোলাকার। রাক্ষস তালের আকৃতি অর্ধচন্দ্রাকার। এরা নাকি সূর্য ও চন্দ্রের শক্তিকে প্রকাশ করে।
সূত্র: এবেলা