জুয়াইরিয়া ফৌজিয়া : একটানা ৯ দিন সরকারি ছুটি হওয়ায় অফ সিজনেও মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। এইজন্য আগে থেকেই হোটেলগুলো বুকিং দিয়ে রেখেছে ভ্রমণ পিপাসুরা। আর তাই অফ সিজনেও ভালো ব্যবসায়ের আশা হোটেল ব্যবসায়ীদের।
সাপ্তাহিক ছুটি, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, মে দিবসসহ প্রায় ৯ দিনের ছুটি। এরইমধ্যে ২১টি স্টার হোটেল বুকিং করেছের দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। এদিকে পর্যটক হয়রানি বন্ধ ও নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন ও টুরিস্ট পুলিশ।
দৈনন্দিন জীবনের শত ব্যস্ততার মধ্যেও একটু সুযোগ পেলেই প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটাতে চায় সবাই। তাই এই লম্বা ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসু মানুষ ছুটছে সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। আর এদিকে পর্যটকদের বরণ করে নিতে প্রস্তুত কক্সবাজার শহর।
কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির মুখপাত্র আবু তালেব শাহ বলেন, বিপুলসংখ্যক পর্যটক আগমনকে কেন্দ্র করে সৈকত এলাকায় নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।
কক্সবাজার পর্যটন ও প্রটোকল শাখা পর্যটন শাখা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জয় ও টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী বলেন, পর্যটক হয়রানি বন্ধ ও পর্যটন স্পটে নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, এরইমধ্যে ২১টি স্টার হোটেল দেশি-বিদেশি পর্যটকরা বুকিং দিয়ে রেখেছেন। মাঝারি মানের হোটেলগুলোর ৪০ শতাংশ রুম বুকিং হয়ে পড়েছে। আশা করা যাচ্ছে সন্ধ্যার মধ্যেই সব হোটেলের রুম বুকিং হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারে একফসলা বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে রাস্তা-ঘাটে কোনো ময়লা নেই। এখন পরিবেশ আরও মনোরম। পর্যটকরা এসে মুগ্ধ হবে। রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে কিছুদিন ধরে হোটেল মালিকরা লাভবান হতে পারছিল না। কিন্তু এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর থাকায় কোনো ধরনের সমস্যা হবে না বলেই আমরা আশা করছি।
সূত্র : আরটিভি