শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা: খুলনার আনসার আলী ফকির ও আজাদ মুন্সি হত্যা মামলার রায়ে ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২ বছর করে কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ৫জন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল। অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর গ্রামের লিয়াকত ফকির ওরফে লিকু ফকিরের ছেলে মিজানুর রহমান ওরফে মিজান ফকির, গাউস শেখের ছেলে রুহুল শেখ, সুলতান শেখের ছেলে বিপ্লব শেখ, কেরামত আলী শিকদারের ছেলে আকিদুল শিকদার আক্তার, ছাত্তার খানের ছেলে আশরাফুল খান ও সুলতান শেখের ছেলে অ্যাঞ্জেল শেখ। এর মধ্যে আশরাফুল খান পলাতক রয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০১ সালের ১০ এপ্রিল খুলনার তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর গ্রামের আনসার আলী ফকির ও আজাদ মুন্সি নিখোঁজ হয়। এরপর ৯দিন নিখোঁজ থাকার পর ১৯ এপ্রিল আনসার আলী ফকিরের লাশ স্থানীয় নাশুয়াখালি বিলের কওছারের মৎস্য ঘেরে এবং আজাদ মুন্সির লাশ স্থানীয় কাটেঙ্গা গ্রামের একটি কলা বাগানে মাটিচাপা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত আনসার আলী ফকিরের বোন ছায়রা বেগম বাদি হয়ে ২০ এপ্রিল তেরখাদা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এসআই মো. মোস্তফা কামাল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।