শিরোনাম
◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:০৮ সকাল
আপডেট : ২৬ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেউ চিন্তায় কেউ আশায়

ডেস্ক রিপোর্ট : ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। শুধু দলীয় নেতাকর্মীর মধ্যেই নয়, এ নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতৃত্বে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) কে কে আসছেন? তৃণমূল নেতাকর্মীরাও মুখিয়ে আছেন নতুন নেতৃত্বের দিকে। গুরুত্বপূর্ণ এ দুই শাখায় নেতৃত্বে আসতে তৎপর পদপ্রত্যাশীরা। দিন-রাত অনুসারীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় তাদের সরব উপস্থিতি সেটাই বলে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা ধরনা দিচ্ছেন দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে, চালছে জোর লবিংও। নিজেকে সর্বোচ্চ যোগ্য ও আস্থাভাজন প্রমাণে মেলে ধরছেন। ১১ ও ১২ মে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম এ সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন আর চলতি মাসের ২৯ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে সংগঠনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে নেতৃত্বের বয়সসীমা নির্ধারণের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার দিকে তাকিয়ে আছে পদপ্রত্যাশীরা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বা শাখা কোনো পর্যায়ের নেতার বয়স ২৭ বছরের বেশি হতে পারবে না। তবে ২০০৬ সাল থেকে অলিখিতভাবে ২৯ বছর বয়সসীমা মান্য করা হচ্ছে। এবারও কি ২৯ বছর থাকবে, না গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হবেÑ তা নিয়ে অনেকে রয়েছেন চিন্তায়; বিশেষ করে, যাদের বয়স ২৭ বছরের বেশি। অন্যদিকে, যাদের বয়স ২৭ বছরের কম, তারা আশায় বুক বাঁধছেন। সিনিয়ররা বাদ পড়লে তারাই আসবেন ছাত্রলীগের আগামীর নেতৃত্বে। এ জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
তবে পদপ্রত্যাশীদের মতে, সংগঠনের একমাত্র অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, তা-ই হবে। তাদের একটি অংশ বলছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ দুই বছর। এবারের সম্মেলন যেহেতু সঠিক সময়ে হচ্ছে, (২ বছর ১০ মাস) সেক্ষেত্রে বয়স বাড়ানোর কোনো কারণ দেখছি না। তবে যাদের বয়স ২৭ বছরের বেশি, তারা বলছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ দুই বছর থাকলেও কয়েকটি সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে চার থেকে পাঁচ বছর পর। এজন্য অনেক ত্যাগী নেতা বাদ পড়বেন। তবে দুটি পক্ষই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। তারা বলছে, উনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই চূড়ান্ত। তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যথাসময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলে বয়সের বিষয়টি আলোচনায় আসতো না। যেহেতু এবার যথাসময়ে সম্মেলন হচ্ছে না, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টি দেখবেন। তিনিই সঠিক সিদ্ধান্তটি নেবেন বলে আশা করি।
নেতৃত্বের দৌড়ে এগিয়ে যারা : বরিশাল অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেনÑ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, স্কুলছাত্রবিষয়ক উপ-সম্পাদক অসীম কুমার বৈদ্য, আইন সম্পাদক আল-নাহিয়ান খান জয়, কৃষি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বরকত হোসেন হাওলাদার, ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদ, সহ-সম্পাদক খাদেমুল বাশার জয়, প্রচারবিষয়ক উপ-সম্পাদক সাইফুর রহমান সাইফ, ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক শিশিম, ঢাবির কবি জসীমউদ্দীন হলের সভাপতি সৈয়দ আরিফ হোসেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আদিত্য নন্দী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার মুহাম্মদ নিজামুল ইসলাম, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম শামীম, স্কুলছাত্রবিষয়ক উপ-সম্পাদক সৈয়দ আরাফাত, স্কুলছাত্রবিষয়ক উপ-সম্পাদক খাজা খায়ের সুজন, সহ-সম্পাদক জায়েদ বিন জলিল, পরিবেশবিষয়ক উপ-সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব, ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহাসান আহমেদ রাসেল, স্যার এএফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার।
উত্তরবঙ্গ থেকে আলোচনায় আছেন কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল হাসান, আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক হোসাইন সাদ্দাম, উপ-দফতর সম্পাদক আবু সাইদ কনক, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপ-সম্পাদক মো. আল মামুন, আপ্যায়ন বিষয়ক উপ-সম্পাদক তানভীর রহমান মাহিদ, সহ-সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, সদস্য রেজওয়ানুল হক চোধুরী শোভন, ঢাবির মুহসীন হলের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানী। ফরিদপুর অঞ্চল থেকে আলোচনায় আছেন সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ শাহরিয়ার কবির, কবি জসীমউদ্দীন হলের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খান।
এ চার অঞ্চলের বাইরে সিলেট অঞ্চল থেকে নেতৃত্বে আসতে পারেন কেন্দ্রীয় গণশিক্ষা সম্পাদক আনিসুল ইসলাম জুয়েল, স্কুলছাত্রবিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদিন, ঢাবির দপ্তরবিষয়ক উপ-সম্পাদক এনএ চৌধুরী শাওন, ঢাবির মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি ইউসুফ উদ্দিন খান। ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক এবিএম হাবিবুল্লাহ বিপ্লব, ঢাবির এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস। খুলনা অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় গ্রন্থনা ও প্রকাশনাবিষয়ক উপ-সম্পাদক সাগর হোসেন সোহাগ। সূত্র : আলোকিত বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়