রফিক আহমেদ : ২০ দলীয় জোটের শরীক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি’র) চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এ উদ্বেগের কথা বলেন।
খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা বলেন, আমি আশঙ্কা করছি খুলনা ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হবে। আপনাদের মনে আছে কিনা জানি না ৩ বছর আগে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন ২৮ এপ্রিল ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই নির্বাচনে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি।
আরো পড়ুন : তারেকের নির্বাসিত জীবন: দলের জন্য চ্যালেঞ্জ?
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ৩৮নং ওয়ার্ড বর্তমান ২৫নং ওয়ার্ডের সিভিল এভিয়েশন ভোট কেন্দ্রে এনডিপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা তার ভোট দিতে কেন্দ্রে উপস্থিত হলে স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ যৌথভাবে বিনা উস্কানিতে তার উপর হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। সে রক্তাক্ত হয়ে পুলিশ ভ্যানে আশ্রয় নিয়ে কোনভাবে নিজের জীবনকে রক্ষা করে ফার্মগেট আল রাজি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে নয়াপল্টনের বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে বিষয়টি অবহিত করে। সেদিন বিভিন্ন চ্যানেল ও পত্রিকায় ঘটনাটি প্রচার হয়েছিল।
আরো পড়ুন : বর্তমান সরকার তারেক ফোবিয়ায় ভুগছে : রুমিন ফারহানা (ভিডিও)
তিনি বলেন, একজন সচেতন রাজনৈতিক নেতা যাকে সবাই ভালভাবেই চেনে ও জানে সেই তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। শুধুমাত্র বিরোধীদলের সমর্থন দেওয়ার কারণে। এবারও আরেকটি ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পায়তারা করছে বর্তমান সরকার। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সকল কর্মসূচিতে পুলিশের আক্রমন উদ্বেগজনক। তাদের আক্রমন থেকে সাংবাদিকরাও রক্ষা পায়নি। যেমন রাজপথে বিশ্বজিৎ চিৎকার করে বলেছিল আমি হিন্দু আমি হিন্দু, তারপরও ছাত্রলীগ তাকে নির্দয়ভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছিল। ঠিক পুলিশও ছাত্রলীগের ভূমিকায় নিজেদেরকে অতি উৎসাহী হিসেবে কেউ কেউ নির্লজ্জ ভূমিকা পালন করছে।
আরো পড়ুন : তারেক রহমানের জাতীয় পরিচয়পত্রেরও সন্ধান মিলছে না
তিনি আরো বলেন, এখন প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় গুম-খুনের ঘটনা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে কারাগারে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঝুকে যাচ্ছে। তার সুচিকিৎসার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না সরকার। সবকিছু মিলে স্পষ্ট মনে হচ্ছে আরেকটি ভোটারবিহীন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে সিইসি। দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ৭ দিন আগে যদি সিইসি সেনা মোতায়েন না করে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করবো তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায় না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একমাত্র রাজপথেই ফয়সালা হতে পারে। আসুন, সব পথ ছেড়ে রাজপথে নেমে আসি। এই দুঃশাসনের পতন ঘটাই।
আরো পড়ুন : নাগরিকত্ব না থাকলে তারেক রহমানকে কিভাবে দেশে নিয়ে আসবে?
আরো পড়ুন : তারেক এখন বাংলাদেশের নাগরিক নন: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আরো পড়ুন : তারেক জিয়া কোন দেশের নাগরিক?(ভিডিও)