তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে : বিএনপি
শিমুল মাহমুদ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। মানববন্ধনে তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে সরকারের মিথ্যাচার, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, নির্বাচনের পরিকল্পনা এবং সভা-সমাবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ করে দলটির নেতাকর্মীরা।
খালেদা জিয়ার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে নেতাকর্মীরা বলেন, বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য হবে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তাই নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সবাইকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক মানববন্ধনে নেতাকর্মীরা এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে সরকার যে মিথ্যাচার করছে এতে নিজেরাই নিজেদের গহ্বরে পড়েছেন। তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেননি। তিনি এ দেশের নাগরিক ছিলেন, আছেন ও থাকবেন।
তিনি বলেন, ব্রিটিশ আইনের কোথাও পাসপোর্ট জমা দেওয়ার মধ্যে নাগরিকত্ব বর্জনের কথা নেই। সবসময় পাসপোর্ট রেখেই আশ্রয় প্রার্থনা করেন। অথচ সরকার এ নিয়ে মিথ্যাচার করছে। তিনি কোনোভাবে নাগরিকত্ব বর্জন করেনি। তিনি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের নাগরিক আছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার খালেদা জিয়া এবং বিএনপিকে বাইরে রেখে আবারো ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো একটি পাতানো খেলা খেলতে চায়। কিন্তু সেই খেলা তারা আর খেলতে পারবে না। জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা সুযোগ পেলে ভোটের মাধ্যমে তার জবাব দিবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের কথা বলার অধিকার নেই, কথা বলার জায়গা নেই। আপনারা নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সবাইকে সংগঠিত করুন। এমন সময় আসবে, যখন আমাদের রাজপথে কঠোর আদোলন করতে হবে। তখন আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনব।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও খালেদা জিয়াকে বাইরে রাখতে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে সরকার। এখন তারেক রহমানের পেছনে লেগেছে তাকে ছোট করতে। কিন্তু সরকারকে বলতে চাই, এসব করে কোনো লাভ হবে না, জনগণের জোয়ারে ষড়যন্ত্রের সব বাঁধ ভেঙে যাবে।
খালেদা জিয়া মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনে কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন। বিএনপির এই কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।