সাজিয়া আক্তার: গেল কয়েক বছরের বন্যার ক্ষত ভুলে ধানের বাম্পার ফলনের বুক বেধেছিলেন সুনামগঞ্জের কৃষকরা। তবে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সুরমার পানি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাই ফসল রক্ষায় যত দ্রুত সম্ভব ধান কাটার পরামর্শ দিলেও আধা পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা।
ধেয়ে আসা বানের জলে হাওরের মানুষের জীবীকা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার এই ছবি গেল বছরের। কয়েক বছর ধরে এই র্দুগতি সুনামগঞ্জের এলাকাবাসীদের। এবার কপাল ফিরেছে তাদের, ফসল হারানোর ক্ষত ভুলে নতুন ধানের আলোয় ভাসছে সুনামগঞ্জের হাওর। ধানের দেখা মিললেও বিপত্তির আভাস দিচ্ছে প্রকৃতির আচরণ। সুনামগঞ্জ ও ভারতের মেঘালয়ে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বাড়ছে সুরমা নদীর পানি। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে হাওরের বাঁধ উপছে পানি ঢোকার আশঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ডে।
সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, উপজেলা থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে আমরা জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি পানি কী হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং এই তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে তারা যদি ধানগুলো দ্রুত কেটে নেয় তাহলে সার্বিক পরিস্থিতিতে আমরা যে পরিমান ফসল সংগ্রহ করার যে সক্ষমতা সেটা অর্জন করা সম্ভব হবে।
সবখানে না হলেও দু-একটি হাওয়রে বাধ্য হয়ে আধাপাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে বিপত্তি বেড়েছে ধান কাটার লোকবল সংগ্রহ নিয়ে।
একজন কৃষক বলেন, ধান যদিও কিছু ভালো হয়েছিল এখন যদি ধান কাটার লোক না পাই পাঁকা ধানও তো পানির নিচে পরে নষ্ট হয়ে যাবে। এখন যদি ধান কাটতে না পারি তাহলে ছেলে- মেয়ে নিয়ে কী করে চলবো?
সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগ উপ-পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, এই অবস্থা থেকে আমরা উত্তোলন পেতে পারি এজন্য সকল জনপ্রতিনিধি সহ সমাজের বিভিন্ন পেশার মানুষের সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যাতে অন্যান্য যে পেশায় শ্রমিক কর্মরত আছে তাদেরকে ধান কাটার কাজে সম্পৃক্ত করে নির্ধারিত সময় যাতে ফসলটা কেটে ফেলতে পারি।
এবার জেলায় দুই লাখ ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ধান কাটা হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার হেক্টর।
চ্যানেল ২৪ থেকে মনিটরিং
আপনার মতামত লিখুন :