শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:০৫ রাত
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইলিশের অভয়াশ্রমে জাটকা নিধনের মহোৎসব

ডেস্ক রিপোর্ট: শরীয়তপুরে ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে চলছে জাটকা নিধনের মহোৎসব। জেলেদের দাবি, সরকারি সহায়তা দেয়া হলেও পাচ্ছেন না তারা। পেটের তাগিদে ও দাদনের টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়ে নৌকা ও জাল নিয়ে নদীতে নামছেন তারা। তবে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে জেলেদের সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে দাবি জেলা প্রশাসনের।

এদিকে সোমবার (২৩ এপ্রিল) প্রথম জেলার ৪ হাজার কার্ডধারী জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।

শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে ইলিশের অভয়াশ্রম। পহেলা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত সব ধরণের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। তবে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নৌকা নিয়ে নদীতে নামছেন জেলেরা। অবৈধ কারেন্ট জাল ও মশারি জাতীয় জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন তারা। অভয়াশ্রম ছাড়াও পদ্মা ও মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় চলছে জাটকা নিধন।

জেলেদের দাবি, সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং মহাজনের দাদনের টাকা পরিশোধ করতে নদীতে নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। আমাদের যদি সাহায্য দিতো তাহলে তো আর আমরা আসতাম না। আজ পর্যন্ত একটা কার্ডও পাইনি। এটা বলে কোন লাভ আছে? পেটের দায়েই এটা ধরছি। পুলিশে ধরলে আড়তদাররা টাকা-পয়সা দিয়ে ছাড়িয়ে রাখে।

অবৈধ মাছ শিকার বন্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে দাবি করেন নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, আমরা সবাই যদি জাটকাকে 'না' বলি তাহলে কিন্তু এটা সম্ভব। এতে সরকারের কর্মসূচি সফল হবে।

আর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের বলছেন, সরকার জেলেদের পর্যাপ্ত সহায়তা দিলেও অভ্যাসের কারণই জাটকা শিকার করছে তারা। তিনি বলেন, লোভে পড়ে অথবা অজ্ঞতাবশত তারা নদীতে জাটকা ধরতে নেমে যায়। তবে সেটি থেকে তাদের বিরত রাখার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে শরীয়তপুরে ২৫ হাজার জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে। সূত্র: সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়