শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভিযান চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নকল দুধ তৈরির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসন ভেজাল দুধ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহে এই ভেজাল সিন্ডিকেটের নিরাপদ আস্তানা বলে পরিচিত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসনের টিম।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দুধ সংগ্রহের অভিযোগে মোহনপুর বাজারে দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র আকিজ গ্রুপের ফার্ম ফ্রেশকে ১০ হাজার, প্রাণ ডেইরিকে পাঁচ হাজার, ব্র্যাকের আড়ং ডেইরিকে পাঁচ হাজার, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ঘি, ছানা তৈরির কারখানাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গবাদি পশুর নকল ওষুধ প্রস্তুতকারক মোহনপুর বাজারের অমরেশ চন্দ্র নামের এক পশু চিকিৎসককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মিল্ক ভিটাসহ অন্যান্য দুধ কম্পানির দুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবারও পরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি টিম ওই এলাকায় কাজ করেছে। কালের কণ্ঠ

উল্লাপাড়া উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম রন্টু জানান, প্রতিদিনই অভিযান চলছে। পাশাপাশি প্রতিটি দুধ সিলিং পয়েন্ট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার ফল হাতে এলেই আবার নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই শিল্পকে অসৎ মানুষদের হাত থেকে বাঁচাতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘আমরা নিজেদের সোর্সকে কাজে লাগিয়ে এই চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। তবে এ কথা সত্যি প্রকৃত খামারিরা দুধে ভেজাল মেশায় না। একটি মধ্যস্বত্বভোগী মহল এমন বাজে অবস্থার সৃষ্টি করছে।’

প্রাণ ডেইরির উপমহাব্যবস্থাপক সানজিদা খাতুনের দাবি, তাঁরা দুধের গুণগত মান দেখেই দুধ সংগ্রহ করেন। তাঁদের প্যাকেটজাত দুধে কোনো ভেজাল নেই। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিল্ক ভিটার ডিজিএম ডা. ইদ্রিস আলী জানান, মিল্ক ভিটার দুধে ভেজাল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নানা ধরনের পরীক্ষার পর দুধ সংগ্রহ করা হয়।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান পারভেজ জানান, কেমিক্যাল মিশ্রিত এ দুধ পান করলে শিশুদের কিডনিসহ মস্তিষ্কের কোষেরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিশুদের অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়