শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৩৬ দুপুর
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভিযান চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নকল দুধ তৈরির সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় প্রশাসন ভেজাল দুধ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গত সপ্তাহে এই ভেজাল সিন্ডিকেটের নিরাপদ আস্তানা বলে পরিচিত সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসনের টিম।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের দুধ সংগ্রহের অভিযোগে মোহনপুর বাজারে দুধ সংগ্রহ কেন্দ্র আকিজ গ্রুপের ফার্ম ফ্রেশকে ১০ হাজার, প্রাণ ডেইরিকে পাঁচ হাজার, ব্র্যাকের আড়ং ডেইরিকে পাঁচ হাজার, বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের ঘি, ছানা তৈরির কারখানাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গবাদি পশুর নকল ওষুধ প্রস্তুতকারক মোহনপুর বাজারের অমরেশ চন্দ্র নামের এক পশু চিকিৎসককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মিল্ক ভিটাসহ অন্যান্য দুধ কম্পানির দুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবারও পরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি টিম ওই এলাকায় কাজ করেছে। কালের কণ্ঠ

উল্লাপাড়া উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম রন্টু জানান, প্রতিদিনই অভিযান চলছে। পাশাপাশি প্রতিটি দুধ সিলিং পয়েন্ট থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার ফল হাতে এলেই আবার নতুন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এই শিল্পকে অসৎ মানুষদের হাত থেকে বাঁচাতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, ‘আমরা নিজেদের সোর্সকে কাজে লাগিয়ে এই চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। তবে এ কথা সত্যি প্রকৃত খামারিরা দুধে ভেজাল মেশায় না। একটি মধ্যস্বত্বভোগী মহল এমন বাজে অবস্থার সৃষ্টি করছে।’

প্রাণ ডেইরির উপমহাব্যবস্থাপক সানজিদা খাতুনের দাবি, তাঁরা দুধের গুণগত মান দেখেই দুধ সংগ্রহ করেন। তাঁদের প্যাকেটজাত দুধে কোনো ভেজাল নেই। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার বিষয়ে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিল্ক ভিটার ডিজিএম ডা. ইদ্রিস আলী জানান, মিল্ক ভিটার দুধে ভেজাল দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নানা ধরনের পরীক্ষার পর দুধ সংগ্রহ করা হয়।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান পারভেজ জানান, কেমিক্যাল মিশ্রিত এ দুধ পান করলে শিশুদের কিডনিসহ মস্তিষ্কের কোষেরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিশুদের অভিভাবকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়