শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:৫৭ সকাল
আপডেট : ২৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৬:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ষড়যন্ত্রে ক্ষতবিক্ষত সুন্দরবন

তারেক :  বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ধীরে ধীরে ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। সিডর-আইল্যায় লাখ লাখ মানুষের প্রাণ রক্ষাকারী এই প্রাকৃতিক ঢালে’র পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণই মূলত এ অবস্থার সৃষ্টি। ইউনেস্কোর শর্ত উপেক্ষা করে ভারতের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই বনের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে ঘটছে একের পর এক পণ্যবাহী জাহাজ ডুবি; প্রাকৃতির জীব বৈচিত্রকে ফেলছে বিপর্যয়ের মুখে। চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর হরিণটানায় কয়লা বোঝাই জাহাজ ডুবেছে। ২০১৫ সালেও শ্যালা ও পশুর নদীর মোহনায় কয়লাবাহী একটি কার্গো জাহাজ ডুবি ঘটেছিল। ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী কার্গো জাহাজটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর আগে ২০১৪ সালে শ্যালা নদীতে ফার্নেস তেল বোঝাই ট্যাংকার জাহাজ ডুবিতে পানিতে তেল ছড়িয়ে যায় শত শত মাইল। বিপর্যয় হুমকির মুখে পড়ে নদীর প্রাণীকুল। সুন্দরবনের এই বিপর্যয় অথচ সামান্যতেই মায়াকাঁন্না করতে অভ্যস্ত দেশের তথাকথিত দিল্লীপন্থী বুদ্ধিজীবী-সুশীলরা নীরব দর্শক।

তবে দেশের বামপন্থী বুদ্ধিজীবী ও দেশপ্রেমী পরিবেশবাদীরা সুন্দরবন রক্ষার দাবীতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছেন। তারা প্রথম থেকেই অভিযোগ করছেন রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হলে নদী পথে কয়লা-তেল বোঝাই জাহাজ আনা নেয়ায় সুন্দরবনকে ধ্বংস করবে।

মূলত ভারতের অতি উৎসাহে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিমাণের সিদ্ধান্ত হয়। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করে তারা বাংলাদেশ অংশ নির্মাণে ব্রতী হন। প্রতিবেশিকে খুশি রাখতেই সুন্দরবনের পাশে পরিবেশ বিধ্বংসী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এতেই ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবন। এ অবস্থায় সরকারের বিরুদ্ধে ‘সুন্দরবন হত্যা’র অভিযোগ তুলে কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, সরকার গত ১০ বছরে দেশের বহু মানুষকে হত্যা করেছে ক্রস ফায়ারে।

এখন সরকার সুন্দরবনকেও ক্রস ফায়ারে হত্যা করতে চায়। সুন্দরবনের পাশে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে সরকার শুধু আত্মঘাতি নয়; রাষ্ট্র ও জাতিঘাতি কাজ করছে। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, আমরা উন্নয়ন বিরোধী নই। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবন নয়, অন্য স্থানে নির্মিত হউক। দেশের কিছু ব্যাক্তি নিজেদের এবং বিদেশীদের স্বার্থে সুন্দরবনকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। নদীতে সামান্য জাহাজ ডুবিতে যে বিপর্যয় দেখা যাচ্ছে ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা সুন্দরবনের চরম অবস্থার সৃষ্টি করবে।

দেশের তেল গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে গবেষণা করেন এমন বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ ও অধ্যাপকরা অভিযোগ করছেন ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চক্র নানা চক্রান্তে সক্রিয়। বাংলাদেশের পাট শিল্প ধ্বংস করে যারা ভারতে পাটকল নির্মাণে উৎসাহী হয়েছিল; তাদেরই কেউ কেউ এই চক্রান্তের নেপথ্যে। রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, বিভিন্ন সময়ে সুন্দরবনের বুক চিরে তেলবাহী ট্যাংকার ও মালবাহী কার্গো জাহাজ অবাধে চলাচল, একের পর এক জাহাজ ডুবি, মাঝে মধ্যে বিষাক্ত ফার্নেস অয়েল নদীতে সয়লাবে ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট সুন্দরবনের ত্রাহি অবস্থা। সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল নদীতে কয়লার জাহাজ ডুবির ঘটনা সুন্দরবনকে ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভারত-বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগের প্রকল্প। এটি সুন্দরবনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বিপজ্জনক সংকট। দুই দেশের এবং জাতিসংঘের পরিবেশ-সংশ্লিষ্ট সব আইন-নীতি ও ঘোষণাকে উপেক্ষা করে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ও আর্থিক হিসাবের বিচারে অনেক ক্ষতির দায় মাথায় নিয়ে সরকার এটি স্থাপন করছে। পরিবেশবিদ ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল্লাহ বলেছেন, টাকা হলে দশটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব; কিন্তু সুন্দরবন গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

পরিবেশবাদীদের অন্দোলন সংগ্রামের মুখে সুন্দরবনের কোল ঘেষে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান আর ঘন ঘন সুন্দরবনের নদীতে জাহাজ ট্যাংকার ডুবির ঘটনা একই সূত্রে গাথা কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি এটি নাশকতা কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদী মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

সূত্রমতে, অপরিকল্পিতভাবে এবং পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে সুন্দরবন এলাকায় কয়লা ভিত্তিক ভারী শিল্প স্থাপন এবং একের পর এক জাহাজ ডুবি ও সর্বশেষ কয়লা বোঝাই কোষ্টার ডুবিতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য মারাত্মাক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে সুন্দরবনের বণ্যপ্রাণী সহ নদীতে বাস করা প্রাণীর অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে। বিভিন্ন সময় এ ধরনের বিষাক্ত কালো তেল ও কয়লা ধোয়া পানি দূষণ ঘটায় এবং এতে যেমন পানিতে বসবাসরত প্রাণীর আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেমনি নদী খাল সংলগ্ন উদ্ভিদের সংস্পর্শে এসে সেই তেল শ্বাসমূল, পাতা গুল্মোরাজির ক্ষতি করে। আর তা খেয়ে বনের প্রাণীকূলের ক্ষতি হয়ে থাকে। বিপন যেন পিছু ছাড়ছে না সুন্দরবনের। মানুষকে রক্ষা করছে যে বন, সেই মানবসৃষ্ট দুর্ঘটনায় হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবন। এজন্য মানুষের অসচেতনতা ও বন বিভাগের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে, দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ এম ভি বিলাস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। গত শুক্রবার প্রথম দিনে মাত্র আড়াই মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। গতকাল শনিবারও কয়লা উত্তোলন অব্যাহত ছিল।

বাংলাদেশ পরিবেশ ও নবাধিকার বাস্তবায়ন সোসাইটির বিভাগীয় মহাসচিব আজগর হোসেন বলেন, বার বার সুন্দরবনের নদ নদীতে জাহাজ কার্গো ট্যাংকার ডুবি হচ্ছে। অথচ নেয়া হচ্ছে না দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ। ভারতীয় অংশে কোন দুর্ঘটনা ঘটছে না। তাহলে ভারতীয় অংশের সুন্দরবন সুরক্ষা আর বাংলাদেশী অংশে সুন্দরবন ধ্বংসে অন্য রাষ্ট্রের চক্রান্ত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কারণ সুন্দরবন বাংলাদেশের সম্পদ। আর ভারত সুন্দরবনের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন প্রকল্প সুন্দরবনের কোলেই নির্মান করছে। এ ধরণের ক্ষতিকর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ভারত কেন তাদের সুন্দরবন অংশে করল না। তিনি এ ব্যাপারে বিশ্ব বিবেকের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, ‘কয়লার ক্ষতি প্রাথমিকভাবে চোখে ধরা পড়ছে না। তবে কয়লার সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন প্রভৃতি সুন্দরবনের পানি, জীব ও পরিবেশকে দূষিত করবে। যার ফলে নদীতে মাছের বংশবিস্তারে সমস্যা হবে। দূষিত পানি ব্যবহার করে স্থানীয়দের নানা ধরনের রোগ হতে পারে।’

মোংলা বন্দরের হারবার সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের সংরক্ষিত এলাকায় ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি এক হাজার মেট্রিক টন কয়লাবোঝাই লাইটারেজ জাহাজ এমভি আইচগাতি ডুবে যায়। ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ শ্যালা নদীর ধানসাগর এলাকায় এক হাজার ২৩৫ টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এমভি জাবালে নূর, ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর ৫১০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে পশুর নদীর চিলা এলাকায় খাদ্য গুদামের (সাইলো) কাছে ডুবে যায় কার্গো জাহাজ এমভি জিয়ারাজ। একই বছর পশুর নদীর হারবারিয়া এলাকায় সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল জিপসাম নিয়ে ডুবে গিয়েছিল এমভি সি হর্স। বড় বিপর্যয় ঘটে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বরে। এদিন চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে যায়। এতে তেল ধীরে ধীরে সুন্দরবনের ভেতর ছড়িয়ে পড়ে। এতে বনের জীববৈচিত্র্য ও মাছের উৎপাদনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে।

মোংলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আল আমিন সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করেন। তার মতো শ’দুয়েক জেলে পরিবার তিন দশকের বেশি সময় ধরে সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরে জীবিকা চালাচ্ছেন। ৪ বছর আগেও প্রতি গোনে (আমাবস্যা-পূর্ণিমা মৌসুম) ১৫ হাজার মাছ ধরা পড়তো তাদের জালে। ২০১৪ সালে শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবির পর তিন থেকে চার হাজারের বেশি মাছ পাচ্ছেন না তারা।

জাহাজডুবির ঘটনার পর সরকার ও বন বিভাগ সুন্দরবনের ক্ষতির আশঙ্কায় মামলা এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আর আলোর মুখ দেখে না।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের আশপাশের নদীগুলোতে বারবার জাহাজ বা কার্গোডুবির ঘটনা পরিবেশের জন্য অশনি সংকেত। এর ফলে জীববৈচিত্র্য নষ্ট হওয়াসহ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে সুন্দরবনের পরিবেশ।

সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘কয়লার জাহাজডুবিতে সুন্দরবনের নদীতে বাসকরা প্রাণীদের অস্তিত্বসহ জীববৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কারণ, এ কয়লা সাধারণত ইটভাটাগুলোতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এসব কয়লায় সালফারের পরিমাণ বেশি থাকায় তা পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে।’ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনও জাহাজ ডুবলে ওই জাহাজের ভেতরে থাকা তেল বা মবিলও পানির সঙ্গে মিশে যায়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।’

তিনি বলেন, ইউনেস্কো তাদের গত বাৎসরিক সভায় বড় ধরনের কোনও প্রকল্প নেওয়ার আগে সরকারকে একটি কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা করার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সরকার এখনও তা করেনি। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ও সার্বিকভাবে সুন্দরবনের সুরক্ষায় এটা যত দ্রæতসম্ভব করা উচিত।

প্রকৃতির দান সুন্দরবনকে তার আপন গতিতে চলতে বাধা সৃষ্টি এবং সুরক্ষায় বাস্তবমুখী প্রকল্প গ্রহন না করায় সুন্দরবন যেন কাঁদছে। যে সুন্দরবন প্রকৃতির রূদ্র রোষ থেকে মায়ের মত আগলে রাখে উপকূলীয় অঞ্চলের জনপদকে তাকে যেন আর কৃত্রিম সংকটে ক্ষতবিক্ষত না করা হয় এমন দাবি তুলেছেন পরিবেশবিদরা। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষায় বিশ্ব যেখানে সদা জাগ্রত সেখানে অভ্যন্তরীনভাবে সুন্দরবন সুরক্ষায় বিশেষ কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।

উৎসঃ ইনকিলাব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়