শিরোনাম
◈ বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান না হওয়ার সম্ভাবনা  ◈ দুটি ইস্যুতে উত্তপ্ত ঢাকা-দিল্লির কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ আনিস আলমগীরের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি সিপিজের ◈ হিমালয়ের গভীরে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জলবিদ্যুৎ ব্যবস্থা তৈরি করছে চীন ◈ ইউক্রেনের সাথে আপস প্রত্যাখ্যান করেছেন পুতিন ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন

প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:০৫ রাত
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ০২:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মসলা গবেষণা জোরদার করতে প্রায় ১৩৫ কোটি টাকার প্রকল্প

সরকারি অর্থায়নে বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। দেশে মসলা ফসলের চাষাবাদ বাড়ানোর জন্য নেয়া পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে মসলা ফসলের সহজলভ্যতা ও নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মসলা গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শহিদুজ্জামান বলেন, বর্তমান বিশ্বের ১০৯ ধরনের মসলা ফসলের মধ্যে বাংলাদেশে চাষ হয় কমবেশি ৩৫টি। অথচ বাংলাদেশে ব্যবহৃত হয় প্রায় ৪৩টি মসলা। পিঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা ও হলুদ বাংলাদেশে প্রধান বাণিজ্যিক মসলা ফসল হিসেবে বিবেচিত। কালিজিরা, মেথি, মৌরি, গোলমিরচ. দারচিনি হলো অপ্রধান মসলা ফসল।

মসলা ফসলে পুষ্টিগুনের পাশাপাশি ঔষধিগুণ থাকায় এর চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। দৈনন্দিন জীবনে প্রধান ও অপ্রধান জাতীয় প্রতিটি মসলা কম বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে এবং প্রায় প্রতিটি মসলা ফসলই ক্যাশ ক্রপ(অর্থকরি ফসল) হিসাবে বিবেচনা যোগ্য। তাই মসলা ফসলের গবেষণা ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন সময়ের দাবি। মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে মসলা ফসলের উৎপাদন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৫.০৬ লাখ হেক্টর জমিতে মসলা ফসলের চাষ হয়ে থাকে। দেশে মসলা ফসলের উৎপাদন ছিল ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৬.৬৬ লাখ মেট্রিক টন।

পরবর্তীতে প্রণোদনা দেয়ায় দেশে মসলা চাষ বাড়তে থাকে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২২.৯৩ লাখ মেট্রিক টন, ২০১০-১১তে ২৫.৭১ লাখ মেট্রিক টন, ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৯.৬৫ লাখ মেট্রিক টন, ২০১২-১৩ অর্থবছরন ২৯.৭৯ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩৫.৬০ লাখ মেট্রিক টন মসলা ফসল উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ সংগ্রহ পরবর্তী অপচয়ের পর প্রায় ২৭.৭১ লাখ মেট্রিক টন ব্যবহার উপযোগী থাকে। দেশের আভ্যন্তরিণ চাহিদা মেটানোর জন্য দরকার হয় আরো প্রায় ৪ লাখ মেট্রিক টন মসলা। মাথাপিছু চাহিদা ৫৪ গ্রাম হলেও পায় মাত্র ৩৮ গ্রাম।

এ যাবত বিভিন্ন মসলা ফসলের ৩২টি জাত উদ্ভাবিত ও মুক্তায়িত হয়েছে। পেঁয়াজের ৫টি, হলুদের ৫টি, মরিচের ৩টি, রসুনের ৪টি, আদার ১টি, ধনিয়ার ২টি, মেথির ২টি, কালজিরার ১টি গোলমরিচের ১টি, পানের ৩টি, পাতা পিঁয়াজের ১টি, আলুবোখরার ১টি, বিলাতি ধনিয়ার ১টি এবং মৌরির ২টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়