শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর জবাবে বাংলাদেশে পাল্টা ছাড়ের পরিকল্পনা ◈ রেকর্ড রান করেও আমিরাতের কাছে হারল বাংলাদেশ ◈ বায়রার সংবাদ সম্মেলন ঘিরে মারামারি, পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ◈ সেই ছাত্রীর সাথে আ'পত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ার ব্যাখ্যা দিলেন শিক্ষক (ভিডিও) ◈ জাতীয়’র আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন সারজিস, জানালেন কারণও  ◈ ইশরাক ভাই-তাবিথ ভাইদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছাত্রনেতাদের বাসা ভাড়া দিয়েছি: নুরুল হক নুর (ভিডিও) ◈ এবার নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে যা বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য! ◈ বড় সুখবর পেলেন প্রবাসীরা ভোটার হওয়া নিয়ে  ◈ বিনিয়োগবান্ধব বাজেট আসছে, অনলাইনে রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব ◈ রৌমারীতে পাহাড়ি ঢলে সাঁকো ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, ভোগান্তিতে ৩০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ০৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় লাগবে স্নাতক পাশ

ডেস্ক রিপোর্ট:  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় বড় পরিবর্তন আসছে। নিয়োগপ্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসহ নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তনের বিধান রেখে এরই মধ্যে নতুন নিয়োগ বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই খসড়া যাচাই-বাছাই করছে।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে ২০১৩ সালে প্রণীত বিধিমালা অনুযায়ী।

জানা যায়, নতুন বিধিমালায় বড় আকারে পাঁচটি পরিবর্তন আসছে। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় পুরুষ ও নারীর জন্য আলাদা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষের জন্য স্নাতক আর নারীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পাস হতে হয়। কিন্তু নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে নারীদের জন্য ৬০ শতাংশ কোটা বহাল থাকছে।

সরাসরি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এত দিন স্নাতক পাস হলেই আবেদন করা যেত। নতুন বিধিমালার খসড়ায় এই শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর প্রস্তাব করা হয়েছে। এত দিন প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ২৫ থেকে ৩৫ বছর। কিন্তু এখন এই পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ায় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) নীতিমালার সঙ্গে সংগতি রেখে বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ থেকে ৩০ বছর। তবে আগের মতো সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫ শতাংশ পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হওয়ার বিধানও থাকছে। সে ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা হবে শিথিলযোগ্য। বাকি ৩৫ শতাংশ পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হবে। তবে এই পদে নিয়োগ ও পদোন্নতির পুরো দায়িত্বই থাকবে পিএসসির।

নতুন বিধিমালায় বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগেও জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যেকোনো বিষয়ে পাস করা প্রার্থীর সমান সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এতে মানবিক বিভাগ থেকে আসা শিক্ষকরা গণিত ও বিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলো সহজে আত্মস্থ করতে পারেন না। এ কারণে নতুন বিধিমালায় সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মোট পদের শতকরা ২০ ভাগ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মধ্য থেকে নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্লাস্টার বা উপজেলাভিত্তিক আর্ট ও সংগীত শিক্ষক রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

নতুন বিধিমালা কার্যকর হলে শিক্ষক নিয়োগ আগের মতোই উপজেলা বা থানাভিত্তিক হবে। তবে কেন্দ্রীয়ভাবে গঠিত সহকারী শিক্ষক নির্বাচন কমিটির সুপারিশ ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে সহকারী শিক্ষক পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এমন ব্যক্তিকে বিবাহ করেছেন অথবা বিবাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তিকেও শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।

নতুন বিধিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, ১৩তম থেকে ১৬তম বেতন গ্রেডের কোনো পদে থাকা শিক্ষককে দশম থেকে দ্বাদশ বেতন গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা যাবে। আর দশম থেকে দ্বাদশ গ্রেডে থাকা শিক্ষক নবম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের কোনো পদে পদোন্নতির সুপারিশ পেতে পারেন। তবে উভয় ক্ষেত্রেই পিএসসির সুপারিশ প্রয়োজন হবে। ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালায় এসব শর্ত নেই। বর্তমানে কোনো ব্যক্তির শিক্ষক পদে যোগদান করার তিন বছরের মধ্যে প্রশিক্ষণ বা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও নতুন বিধিতে তা থাকছে না।

এসব বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. রমজান আলী বলেন, ‘নতুন বিধিমালা এখন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এটা নিয়ে একাধিক মিটিংও হয়েছে। সংশোধন, পরিবর্তন-পরিবর্ধন চলছে। তবে ২০১৩ সালের বিধিমালা থেকে নতুন বিধিমালায় বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। এই বিধিমালা পাস হওয়ার আগ পর্যন্ত এটা প্রস্তাবই বলতে হবে। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করলে তা জনপ্রশাসনে যাবে, সচিব কমিটিতে যাবে। আমরা আশা করছি, দ্রুতই নতুন বিধিমালা পাস হবে।’

বিধিমালা প্রণয়নের প্রয়োজনীতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালে প্রণীত বিধিমালায় প্রধান শিক্ষক পদে সরাসরি শতকরা ৩৫ ভাগ এবং সহকারী শিক্ষক থেকে শতকরা ৬৫ ভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করার বিধান ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের ৯ মার্চ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। ফলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির বিষয়টি পিএসসির বিবেচনাধীন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা প্রণয়নের এটিও অপরিহার্য কারণ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়