শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৩৮ সকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘পাচার হওয়া টাকা দিয়ে ১১টি পদ্মা সেতু বানানো যেত’

রবিন আকরাম : গত ১০ বছরে দেশ থেকে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এই টাকা দিয়ে ১১টি পদ্মা সেতু বানানো যেত বলে মন্তব্য করেছেন সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক গোলমা মর্তুজা। এই নিয়ে ফেসবুকে একটা লেখাও লিখেছেন তিনি। আমাদেরসময় পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো।

তিনি লিখেছেন- গত ১০ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়েছে কমপক্ষে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা দিয়ে ১১টি পদ্মা সেতু বানানো যেত অথবা ঢাকা শহরের প্রতিটি রুটে মেট্রোরেল নির্মাণ করা যেত।

মেট্রোরেলের নির্মাণ ব্যয়েও বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। চেন্নাইয়ের ৪৪ কিলোমিটার মেট্রোরেলের ২৪ কিলোমিটার নির্মিত হয়েছে মাটির নিচে দিয়ে। ৩৪টি স্টেশনের ২০টি মাটির নিচে। মাটির উপরের চেয়ে নিচে দিয়ে নির্মাণ ব্যয় অনেক বেশি। মাটির উপরে-নিচে মিলিয়ে ৪৪ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণে চেন্নাইয়ের ব্যয় হয়েছে ২৪৫ কোটি ডলার, কিলোমিটার প্রতি ব্যয় ৫ কোটি ৫৫ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ মাটির উপর দিয়ে ২০.১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় করছে ২৭০ কোটি ডলার, কিলোমিটার প্রতি ব্যয় ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার। জাপানের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি অর্থ ব্যয়ে হলেও, পাচার হওয়া টাকা দিয়ে বাংলাদেশ প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করতে পারত!
দেশে কর্মক্ষম মানুষ আছে, কাজ নেই। আবার কাজ আছে, দেশে দক্ষ মানুষ নেই। দেশে আবার মেধার মূল্যায়নও নেই। ১০০টি পদের মধ্যে ৫৬টি পদে চাকরি হয় কোটায়। বাকি ৪৪টি পদের জন্যে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ থাকে।

দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ নেই। আর্থিক খাতে চরম নৈরাজ্য। বেসরকারি সেক্টরে চাকরির ক্ষেত্র বাড়ছে না।

বাংলাদেশে ৫ লক্ষের ওপরে ভারতীয়, কয়েক হাজার শ্রীলঙ্কান, চাইনিজ কাজ করছেন উচ্চ বেতনে, উচ্চ পদে। প্রতি বছর শুধু ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যায় কমপক্ষে ৩২ হাজার কোটি টাকা। ‘সিলিকন ইন্ডিয়া নিউজ’র তথ্য অনুযায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ভারত বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে ৭০ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আয় করেছে ৪ বিলিয়ন ডলার।

এই চিত্র দেখে ভারতের ওপর রাগ করে লাভ নেই। যে মানের ভারতীয় বা শ্রীলঙ্কানরা বাংলাদেশে কাজ করছেন, সেই মানের কর্মী বাংলাদেশের নিজের নেই। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা তাদের তৈরি করতে পারেনি। আগে তাও মোটামুটি একটা শিক্ষাব্যবস্থা ছিল।

গত আট দশ বছরে তা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। আগামীতে বেকারের সংখ্যা বাড়বে, দক্ষ লোকের সংখ্যা শুধু কমবে। বিদেশ থেকে দক্ষ লোক এনে কাজ করাতে হবে। চিন্তা করে দেখেন, আমাদের প্রবাসী কর্মীরা রক্ত পানি করে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন। সেই অর্থ আবার বিদেশি কর্মীরা নিয়ে যাচ্ছেন। ভারত সারা পৃথিবী থেকে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে, বাংলাদেশ তার মধ্যে পঞ্চম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়