শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ০৩:০১ রাত
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০১৮, ০৩:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামে নারী নেতৃত্ব

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির : কোরআনের আলোকে: পরম করুনাময় সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “পুরুষগণ মেয়েদের উপর সরদার ও কর্তৃত্বশীল। কেননা আল্লাহ তায়ালা তাদের একের উপর অন্যকে (অর্থাৎ মেয়েদের উপর পুরুষগণকে) ফজিলত দান করেছেন। (সুরা নিসা : ৩৪ আয়াত ৫ম পারা)।

উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় হযরত শেখ আহমদ মোল্লা জিয়ন (রহ.) তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য তাফসীর গ্রন্থ “তাফসীরে আহমদীয়ায়” উল্লেখ করেন যে, বিশেষ কয়েকটি কারণে সাধারণত পুরুষগণ কে নারীাদের উপর মর্যাদাশীল করা হয়েছে। জ্ঞান, বুদ্ধি, চতুরতা, চালাকী বা কৌশল ও বাহাদুরীর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে পুরুষরা বেশি মর্যাদার অধিকারী। তদ্রুপ নামাজ, রোজা, হজ¦, নবুয়ত, রেছালত, রাষ্ট্র পরিচালনা, ইমামত, আযান, খোৎবা, দুই ঈদের ওয়াজিব নামাজের ব্যাপারে পুরুষগণ কর্তৃত্ব ও শ্রেষ্ঠত্বে অধিকারী। যেহেতু শরীয়তের দৃষ্টিতে নারীরা মাসিক ঋতুস্রাবের সময় ও সন্তান প্রসবের পর রক্ত প্রবাহ কালীন সময়ে নামাজ, রোজা আদায় করতে পারে না। তদ্রুপ শক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যতক্ষণ মুহরিম ব্যক্তি সাথে থাকবে না ততক্ষণ নারীরা ফরজ হজ¦ও আদায় করতে পারে না। অনুরূপভাবে গোটা মুসলিম মিল্লাতের জন্য গুরুত্ববহ জুমা ও দুই ঈদের নামাজ থেকে রমনীগণকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। আযান ইকামত, ইমামত, খুৎবা প্রদান, জানাজার নামাজ নবূয়ত ও রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুদায়িত্ব পালন করা মহিলাদের জন্য একেবারে নিষিদ্ধ। (তাফসীরে আহমদিয়া ২৭২ পৃষ্ঠা)

উপরোক্ত আয়াতের তাফসিরে বিশ্ব বরেণ্য মুফাচ্ছির আল্লামা কাজী বায়জাবী (রহ.) বলেন-শরীয়ত, রেসালাত রাষ্ট্র পরিচালনা এবং ইমামতির দায়িত্ব, বহিরাগত যাবতীয় কার্যাদীর কর্তৃত্ব, পর্যবেক্ষণ বিচার বিভাগ, জেহাদ ও জুমা ইত্যাদি পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট। কোনো রমনী এ সমস্ত দায়িত্ব সমূহ পরিচালনা করতে পারবে না। (তাফছিরে বায়যাবী: ১১১)।

শেখ ইসমাইল মক্কী (রহ.) উক্ত আয়াতের বিশ্লেষনে বলেছেন নবুয়ত আর খেলাফত (রাষ্ট্র পরিচালনা) একমাত্র পুরুষগণের জন্য। রমনীদের মধ্যে হযরত মরিয়ম-হযরত ঈসা (আ.) এর জননী, হযরত আছিয়া (ফেরআউনের স্ত্রী), মুমীনগনের মাতা হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রা.) ও হযরত খাদিজা (রা.) প্রমুখ অসংখ্য ফজিলতের অধিকারী। এমনকি হযরত মরিয়ম সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন-অন্যান্য পুরুষগণ এই রমনীর মত নয় (সূরা আল ইমরান) এতদসত্ত্বেও তাঁরা নবুয়ত এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করতে পারেনি। তাই লক্ষাধিক নবী ও রাসূলগণ আল্লাহ তায়ালা পুরুষগণের মধ্যে প্রেরণ করেছেন। সুতরাং অন্যান্য মহিলারা মোটেই উক্ত গুরুদায়িত্ব আদায় করতে পারবে না। (তাফসীরে রুহুর বয়ান ২০৪ পৃষ্ঠা)

হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পবিত্র বিবিগনকে নির্দেশ করত: বলা হয়েছে “এবং তোমরা নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করবে (বিনা প্রয়োজনে বাহিরে যাবে না) এবং প্রাচীন জাহেলী যুগের বের্পদা ও বেহায়া নারীদের মত সেজে গুজে বের হয়ে পর পুরুষকে নিজেদের সৌন্দর্য প্রর্দশন করবে না এবং তোমরা নামাজ কায়েম করবে। মালের জাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ রাসূলের অনুসরণ করবে। (সূরা আহযাব ২২নং আয়াত)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়