ফারমিনা তাসলিম : ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার থেকে আটককৃত প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার কোকেন চুরি হওয়ার আশঙ্কা করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এদিকে কোকেন ধ্বংসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে তদন্তকারী সংস্থা র্যাবকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
এই মামলার অন্যতম আসামী নূর মোহাম্মদ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছে। প্রধান আসামী লন্ডন প্রবাসী দ্ইু বাংলাদেশি এখনো গ্রেফতার হয়নি।
২০১৫ সালে বলিভিয়া থেকে ভোজ্য তেলের সাথে মিশিয়ে একটি কনটেইনারে নিষিদ্ধ কোকেন আমদানি করেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী নূর মোহাম্মদ।
বিভিন্ন সংস্থার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই বছরের ৬ই জুন ১০৭টি ড্রামসহ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কনটেইনারটি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা।
পরে রাসায়নিক পরীক্ষায় দুটি ড্রামে তরল কোকেনের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় ৪০০ লিটার তরল কোকেন আছে।
এর আগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নানা কৌশলে কনটেইনার গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তাই মূল্যবান এই কোকেনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত শুল্ক গোয়েন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর মহাপরিচালক ড. মইনুল খান বলেন, অন্য দেশে নেওয়া হবে বলেই চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়ে ছিল। যেহেতু এটা খুব দামী পণ্য। পণ্যের নমুনা রেখে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে পণ্যেটা আমরা ধ্বংস করতে চাই।
তাদের তথ্যমতে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসাবে ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে পাচারের লক্ষ্যে আনা হয় এই কোকেন। কোকেন বেহাত হওয়ার ঝুঁকি আছে স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
র্যাব-৭ এর তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিউদ্দিন বলেন, এই কোকেনের বাজার মূল্যে প্রায় ৮ হাজার টাকার ওপরে। যারা এইগুলো এনেছে তারা এটি সরানোর কাজ করতেই পারে। একটি ঝুঁকি থেকেই যায়।
এদিকে এই মামলার অভিযুক্ত আসামী, নূর মোহাম্মদ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পালিয়ে গেছেন। তার ভাই মোস্তাক এবং লন্ডন প্রবাসী অপর দুই আসামী, বকুল মিয়া ও ফজলুর রহমানসহ বর্তমানে চার আসামী পলাতক। তাদের গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে বলে জানান র্যাব-৭ তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসপি মহিউদ্দিন ফারুকী।
কোকেন চোরাচালানের মামলাটি বর্তমানে র্যাব তদন্ত করছে। ইন্টারপোলের জুডিশিয়াল কোঅপারেশন ইউনিটও বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানায় র্যাব।
সূত্র : সময় টিভি