শিরোনাম
◈ ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও হৃদ্‌রোগ থাকলে অভিবাসীদের ভিসা নাও দেওয়া হতে পারে: ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা ◈ ‘আমি একজন হতভাগী, পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম, দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন’ ◈ গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহর খোঁজ নিলেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, দ্রুত সুস্থতা কামনা ◈ ভারতীয় সীমান্তে সক্রিয় চক্র, দেখতে আসল কিন্তু জাল টাকা! (ভিডিও) ◈ নিউ ইয়র্কের মেয়র মামদানি উগান্ডার ক্রিকেট লিগে খেলেছেন ◈ জামায়াত নেতার ‘নো হাংকি পাংকি’ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন মাসুদ কামাল ◈ ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডর: বাংলাদেশ ঘিরে কৌশলগত চাপ বাড়াতে ভারতের নতুন পদক্ষেপ ◈ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাব নিয়ে ঢাকায় হবে সুপার কাপ ফুটবল  ◈ ‌ক্রিশ্চিয়া‌নো রোনালদোর কাছে সৌদি আর‌বের চেয়ে স্পেনে গোল করা সহজ ◈ কয়েকশ কারখানা বন্ধ ও লাখো শ্রমিক বেকার, বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সামাজিক শান্তি ও শৃঙ্খলার মূল চাবিকাঠি হলো তাকওয়া

ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: মুত্তাকি ঈমানদার ব্যক্তি সে সবসময় নিজেকে নিয়ন্ত্রিত রাখে। তাকওয়া তাকে শক্তি জোগায় অন্যায়কে এড়িয়ে চলার জন্য। শক্তি জোগায় ন্যায়ের পথে অবিচল থাকতে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তাকে সংকট উত্তরণের পথ বের করে দেন। তিনি তার জন্য এমন জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করেন, যা সে ভাবতেও পারে না। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে আল্লাহই তার জন্য যথেষ্ট। (সুরা আৎ-ত্বালাক, আয়াত : ২-৩ আয়াত)।

ইসলামী শরিয়তের পরিভাষায় তাকওয়া বলতে ঈমানদারের হৃদয়ের এমন অবস্থাকে বোঝায়, যা তাঁকে সর্বদা আল্লাহর ভয়ে ভীত রাখে। তাকওয়া ঈমানদারকে জীবনের প্রতিটি কাজে এ কথা ভাবতে বাধ্য করে, জীবনের ছোট-বড় সব কাজের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে হিসাব দিতে হবে।

জীবনের পবিত্রতা, মুক্তি, সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তির মূল চাবিকাঠি হলো তাকওয়া। কারণ ব্যক্তির আত্মা যদি কলুষিত হয়, তার অভ্যন্তরীণ শক্তি যদি তাকে কুপথে পরিচালিত করে, তাহলে কোনো অনুশাসনই তার আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ফলে সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি কোনো উপায়ে বন্ধ করা যায় না। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাপাক ইরশাদ করেছেন, তারা (ইউসুফ (আ.)-এর ভাইয়েরা] বলল, তবে কি তুমিই ইউসুফ? সে বলল, আমিই ইউসুফ এবং সে আমার সহোদর ভাই। আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন। যেসব ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে এবং ধৈর্য ধারণ করে (সে-ই সৎকর্মপরায়ণ) আল্লাহ অবশ্যই সেই সৎকর্মশীলদের শ্রমফল নষ্ট করেন না। (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ৯০)

তাফসির : হজরত ইউসুফ (আ.) বৈমাত্রেয় ভাইদের করুণ অবস্থা দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারেননি। তাই তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করার জন্য নানাভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে লাগলেন। তিনি প্রশ্ন করেন, তোমরা ইউসুফ ও তাঁর ভাইদের ঘটনা সম্পর্কে কী জানো? এ কথা শুনে ভাইয়েরা আঁতকে ওঠে। তারা ভাবতে থাকে, মিসরের বাদশাহ কিভাবে ইউসুফের ঘটনা সম্পর্কে জানল! তাহলে কি তিনিই ইউসুফ!

বৈমাত্রেয় ভাইদের কাছে এভাবে ইউসুফ (আ.)-এর পরিচয় প্রকাশ হয়ে যায়। তারা ইউসুফ (আ.)-এর ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির কারণে বিস্মিত ও শঙ্কিত হয়েছে। হজরত ইউসুফ (আ.) তাদের বোঝালেন, সবই আল্লাহর ইচ্ছা। মহান আল্লাহ তাঁকে এই মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। তিনিই পরিবারের সবাইকে আবার একত্র হওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ইউসুফ (আ.) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করে এবং ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়ায়ও এর প্রতিফল দিয়ে থাকেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়