মাঈন উদ্দিন আরিফ: পুলিশি কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা শেষে নেতাকর্মীদের শোডাউন নিয়েই বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
অন্যদিনের তুলনায় সাবেক ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে রাজধানীর চাঁনখার পুল থেকে শুরু করে হাইকোর্ট মাজার গেটের সামনে দিয়ে মৎস ভবন, ভিআইপি রোড, রুপসী বাংলা হোটেল হয়ে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনেই ব্যাপক শোডাউন করেছে তারা। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশাল মোটরসাইকেলে শোডাউন করে বাসায় পৌঁছিয়ে দেন খালেদা জিয়াকে।
এই সময় ছাত্রনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আমান উল্লাহ আমান, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ফজলুল হক মিলন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, নাজিম উদ্দিন আলম, শফিউল বারি বাবু, সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।
বুধবার বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলীয়া মাদরাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত থেকে বের হন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আদালত থেকে বের হলে ওই এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অপেক্ষমান দলটির নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল এবং পায়ে হেটে গাড়িবহরে যুক্ত হতে আসলে পুলিশি বাধায় পড়ে। পরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরটি দাড়িঁয়ে গেলে সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বহরে যোগ দেন সকাল থেকে অপেক্ষ মান এ নেতাকর্মীরা।
তবে ৩০ জানুয়ারি পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ পুলিশের ব্যাপক তল্লাশি থাকায় অন্যদিনের মতো হাইকোর্ট মাজার, শহীদুল্লাহ হল-সহ কোন জাগায়ই ঢুকতে পারেনি নেতাকর্মীরা। তবে আশপাশের এলাকাগুলোতে অবস্থান নেন তারা।
এই দিকে খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেয়াকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকা ও আশপাশ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। বিশেষ করে হাইকোর্ট এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। সেখানে আনা হয়েছিল পুলিশের সাঁজোয়া যান, জলকামান, প্রিজন ভ্যান। এছাড়া অতিরিক্ত শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এসব ধরপাকড়ের মধ্যেই খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে নেতাকর্মীদের ব্যাপক ঢল নেমেছিল।